আনাজের মূল্যে মধ্যবিত্তের হাত পুড়ছে জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধির জেরে

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : ঘূর্ণিঝড় আমপান ঘরবাড়ি ধ্বংস করার সঙ্গে সঙ্গে আগুন লাগিয়ে দিয়েছিল আনাজ পাতির বাজারে। সেই আগুনই ফের দপ করে জ্বলে উঠেছে কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসার পরে। সাধারণ মানুষের হাত পুড়ছে পটল, ঝিঙে, উচ্ছে, বেগুন, টোম্যাটো মতো সবজি কিনতে গেলেই । এমনকি ছেঁকা দিচ্ছে জ্যোতি, চন্দ্রমুখী আলুও। আর পেঁপে তো হাতই ঝলসে দিচ্ছে মধ্যবিত্তের ! অধিকাংশ মানুষেরই উপার্জন কমেছে করোনা আবহের জেরে। তার মধ্যেই মধ্যবিত্তের হাঁসফাঁস দশা প্রায় সব ধরনের আনাজপাতির মূল্য ক্রমশ মহার্ঘ হয়ে উঠতে থাকার কারণে।

কোনও আনাজের দামই প্রতি কিলোগ্রাম ৫০ টাকার কম নয় কলকাতার প্রায় অধিকাংশ বাজারেই। খোলা বাজারে ৭০ থেকে ৮০ টাকা বেগুন, টোম্যাটোর দাম। গরমের ফসল পটল, ঝিঙে, উচ্ছে, ঢেড়সও ৫০ টাকা বা তার উপরে। চন্দ্রমুখী আলুর দাম বেড়ে ৩০ টাকা দাঁড়িয়েছে এমনকি খুচরো বাজারেও। আর জ্যোতি আলুর দাম চলা ফেরা করছে ২৬ টাকার আশেপাশে।

ঘূর্ণিঝড়ের ধাক্কা সামলানোর পরে আবার এ ভাবে দাম বাড়ছে কেন? ব্যবসায়ীদের একাংশের মতে, আমপানের জেরে অনেক ফসল নষ্ট হওয়ার পর বাংলার ফসল এখন ভিন্‌ রাজ্যে কম যাওয়ায় কারণে জোগানে কিছুটা হলেও সামাল দেওয়া গিয়েছিল এখানকার বাজারগুলিতে। কিন্তু আনাজের বাজারে ফের এই মূল্য বৃদ্ধির পিছনে রয়েছে ডিজেলের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি। রাজ্যের টাস্ক ফোর্সের সদস্য কমল দে আরও বলেন, ‘ট্রেন বন্ধ। তাই এখন ট্রাকে আসে কোলে মার্কেটের সব আনাজপাতিই। ডিজেলের দাম যে-ভাবে বেড়েছে, তাতে অনেক বেশি পড়ে যাচ্ছে ব্যবসায়ীদের পরিবহণের খরচও। আর তারই প্রভাব পড়ছে খোলা বাজারে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *