কমিশনেরও উর্ধ্বে কী হাইকোর্ট! এমনি প্রশ্ন উঠছে জনস্বার্থ মামলা প্রসঙ্গে

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : কলকাতা হাইকোর্টে জোড়া জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে শীতলকুচির গুলি চালনার ঘটনায়। শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চ একটি মামলা দায়ের করেছে। অপর মামলাটি দায়ের করেছেন আমিনুদ্দিন খান। দুটি মামলারই আজ শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি থোট্টাথিল ভাস্করণ নায়ার রাধাকৃষ্ণণের ডিভিশন বেঞ্চে। কিন্তু সেই শুনানি শুরুর আগেই প্রশ্ন উঠে গেল হাইকোর্টের এক্তিয়ার ও এই মামলার ভবিষ্যত নিয়ে।

মূলত প্রশ্ন উঠেছে যখন জাতীয় নির্বাচন কমিশনের হাতেই নির্বাচনের সব দায়দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়েছে এবং তার সিদ্ধান্তকেই সেখানে চূড়ান্ত বলে মেনে নেওয়া হচ্ছে তাহলে হাইকোর্ট কীভাবে গ্রহণ করলো জাতীয় নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলা। আর কমিশন সেই মামলায় যদি দোষী সাব্যস্তও হয় তাহলেও হাইকোর্ট তাঁকে কিভাবে শাস্তি দেবে। রাজ্যের আইনজীবিদের একাংশ এই প্রশ্নই তুলেছেন ।

মূলত ,চতুর্থ দফার ভোটে কোচবিহারের শীতলকুচিতে দুটি বুথে মোট ৫জন মারা গিয়েছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলি চালনার ঘটনায়। কলকাতা হাইকোর্টে দুটি পৃথক পৃথক জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে সেই ঘটনার জেরেই। আজ একত্রে তাঁদের শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে। মূলত মামলা দুটি করা হয়েছে, মৃতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ প্রদানের জন্য ও দোষীদের শাস্তির দাবিতে।

মামলাকারীদের আরও বক্তব্য, ‘ভোটারদের ওপর ‌ভোটদানের সময় যেভাবে গুলি চালানো হয়েছে, তা এককথায় বেআইনি এবং নজিরবহীনও বটে। কেন্দ্রীয় বাহিনীকে পাঠানো হয়েছে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য। কিন্তু তারা আতঙ্ক তৈরি করেছেন সাধারণ মানুষের মধ্যে। গুলি করে হত্যা করেছে নিরীহ মানুষদের। কোচবিহারের শীতলকুচির ১২৬ নম্বর বুথে যাঁদের মারা হয়েছে, কেউ তাঁরা সন্ত্রাসবাদী নন। যে আচরণ কেন্দ্রীয় বাহিনীর তরফে করা হয়েছে, তা চূড়ান্ত বিরোধী সংবিধানের ১৪, ১৯ এবং ২১ নম্বর ধারার সাম্য, স্বাধীনতা ও জীবনের অধিকারের।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *