কলকাতায় উদ্ধার ৯ বছরের শিশুকন্যার গলাকাটা দেহ! যৌন নির্যাতনের অভিযোগে রণক্ষেত্র সমগ্র এলাকা

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : খোদ কলকাতা শহরের বুকেই ঘটে গেল এমন এক নৃশংস বর্বর ঘটনা! জোড়াবাগান এলাকায় ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হল ৯ বছরের এক নাবালিকার গলা কাটা দেহ উদ্ধার কে কেন্দ্র করে। আরও অভিযোগ উঠেছে , শিশুটিকে গলা কেটে খুন করা হয়েছে শারীরিক নির্যাতন করার পরে ! এর পরেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সমগ্র এলাকা , কার্যত একরকম রণক্ষেত্রের আকার নেয় গোটা জোড়া বাগান এলাকা। বিক্ষোভে ফেটে পড়েছে এমনকি এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারাও। বেশ কিছুক্ষণ ঘিরে রাখা হয় এমনকি পুলিশকেও। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, ওই বাচ্চাটি এলাকার বাসিন্দা নয়। শোভাবাজারে তার বাড়ি। সে কয়েক দিন আগে এসেছিল জোড়াবাগান এলাকার বৈষ্ণব শেখ স্ট্রিটে তার মামারবাড়িতে। পরিবার জানিয়েছে তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না গতকাল, বুধবার বিকেল থেকেই। রাতেই থানায় খবর দেওয়া হয়। পরিবারের দাবি, পুলিশ তার পরেও কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি করেনি ।

অবশেষে শিশুটির দেহ উদ্ধার হয় আজ সকালে।তাকে পাওয়া যায় নৃশংস ভাবে গলা কাটা নগ্ন অবস্থায়। এক এলাকাবাসী ওই শিশুটিকে দেখতে পান মামারবাড়ির পাশেই একটি পরিত্যক্ত বহুতলের ছাদের সিঁড়িতে। সকলে ছুটে যান তাঁর চিত্‍কার শুনেই। দেখা যায়, ওভাবে পড়ে রয়েছে নিখোঁজ বালিকা। ঘনসন্নিবিষ্ট বসতি এলাকায় কী করে এমন খুন হল, কেন কেউ টেরটুকু পেলেন না, ভেবে পাচ্ছে না কেউ।

কে বা কারা এমন ঘটাল, এখনও পর্যন্ত কোনও সূত্র নেই পুলিশের হাতে। লালবাজারের উচ্চপদস্থ কর্তারা ইতিমধ্যেই হাজির হয়েছেন ঘটনাস্থলে। পৌঁছেছেন খোদ জয়েন্ট সিপি ক্রাইম মুরলিধর শর্মা। যে বহুতলে দেহ উদ্ধার হয়েছে, সেই জায়গাটি ভেঙে পড়ছে স্থানীয়দের ভিড়ে।এলাকার বিদায়ী কাউন্সিলর এসে পৌঁছেছেন ঘটনাস্থলে। তিনিও দাবি করেছেন,মেয়েটিকে খুন করা হয়েছে নির্যাতন করেই। তল্লাশি চালানো হচ্ছে এমনকি স্নিফার ডগ এনে। ঘটনাস্থলে হোমিসাইড বিভাগের কর্তারাও এসে হাজির। এসেছে কলকাতা পুলিশের সায়েন্টিফিক উইং।

এই বিষয় এলাকাবাসীরা জানিয়েছেন, কেউ থাকে না ওই বহুতলে। মেয়েটি ওখানে কী করে ঢুকল, সেটাই সকলকে অবাক করছে। তাহলে কি তার পরিচিত কেউই তাকে নিয়ে গেছিল বাড়িটিতে? সে সম্ভাবনাও এমনকি ফেলে দেওয়া যাচ্ছে না। পুলিশ জেরা করছে পরিবার ও পড়শিদেরকেও।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *