গাড়িতে চেকিং ভারত বন্‌ধে, ব্যাপক যানজট এমনকি দিল্লি-গুরগাঁও সীমান্তে , বাতিল একাধিক ট্রেন

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : হরিয়ানা পুলিশ রবিবারই সতর্ক করে বলেছিল, সোমবার কৃষকরা অবরোধ করতে পারেন কয়েকটি হাইওয়ে। তাই প্রস্তুত থাকুন ব্যাপক যানজটের জন্য। জানা গেছে , দিল্লি সীমান্তে গুরগাঁও ও নয়ডাতে ব্যাপক যানজট দেখা দিয়েছে এদিন সকালে। প্রতিটি গাড়ি পরীক্ষা করে দেখছেন এমনকি পুলিশ ও আধা সেনা জওয়ানরা। এছাড়াও কয়েকটি ট্রেনও বাতিল করা হয়েছে ভারত বন্‌ধের জেরে। সোমবার ভোরেই জানা যায় অবরোধ করা হয়েছে হরিয়ানা ও পাঞ্জাবে কয়েকটি হাইওয়ে। কিন্তু কৃষক নেতা রাকেশ টিকায়েত দাবি করেন, তাঁরা বন্ধ করেননি কোনও রাস্তাই। যাতায়াত করতে দেওয়া হচ্ছে এমনকি অ্যাম্বুলেন্স, চিকিত্‍সক ও জরুরি পরিষেবা প্রদানকারী সকলকেই।

রাকেশ টিকায়েতের কথায়, ‘আমরা বন্ধ করিনি কোনো কিছুই। আমরা চেয়েছি কেবল একটি বার্তা দিতে।’ তিনি দোকানদারদের উদ্দেশে এও আহ্বান জানান, দোকান বন্ধ রাখুন। দোকান খুলবেন না বিকাল চারটে অবধি। এদিন ভোর ছ’টা থেকে দিল্লি-মিরাট এক্সপ্রসওয়ে অবরোধ করে ৪০ টিরও বেশি সংগঠনকে নিয়ে গঠিত সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা। উত্তরপ্রদেশ থেকে দিল্লিগামী যানবাহন চলতে পারেনি গাজিপুরে ওই অবরোধের জন্য। কৃষক সংগঠনগুলি আরোও জানিয়েছে,দেশ জুড়ে সরকারি ও বেসরকারি অফিস, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, কারখানা ও দোকানপাট বন্ধ থাকবে ১২ ঘণ্টার এই বন্‌ধে। একইসঙ্গে এও বলা হয়েছে, বিক্ষোভ থাকবে সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ। এদিন ভোরেই কৃষকরা অবরোধ করেন হরিয়ানার কাছে সিংহু সীমান্তও।

পাঞ্জাবে প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি নভজ্যোত্‍ সিং সিধু দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে আহ্বান জানিয়েছেন, সমর্থন করুন এই বন্‌ধকে। টুইট করে তিনি এও বলেন, ‘প্রদেশ কংগ্রেস দৃঢ়ভাবে দাঁড়াচ্ছে কৃষক ইউনিয়নগুলির ভারত বন্‌ধের পক্ষে। যখন ন্যায় ও অন্যায়ের মধ্যে লড়াই হয়, তখন কেউ নিরপেক্ষ থাকতে পারে না।’ উত্তরপ্রদেশে বহুজন সমাজ পার্টির প্রধান মায়াবতী বলেছেন, তাঁর দল সমর্থন করবে শান্তিপূর্ণ ভারত বন্‌ধ। তাঁর কথায়, ‘আমাদের দেশের কৃষকরা মেনে নেননি তিনটি কৃষি আইন। তাঁরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন গত ১০ মাস ধরে।’

এই প্রসঙ্গে ,কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কে সি বেণুগোপাল বলেছেন, ‘আমরা কৃষকদের পাশে আছি কালা কৃষি আইনের বিরুদ্ধে ।’ রবিবার রাকেশ টিকায়েত এও বলেন, ‘কৃষকরা প্রয়োজনে আন্দোলন করবেন ১০ বছর ধরে। সরকারকে শুনতেই হবে আমাদের কথা।’ দিল্লিতে বাড়ানো হয়েছে পুলিশের টহলদারিও। রাজধানীর সীমান্তে তৈরি হয়েছে পুলিশ পিকেট। পুলিশের এক কর্তা জানিয়েছেন, দিল্লিতে আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য যথেষ্ট ব্যবস্থা করা হয়েছে।কোনও আন্দোলনকারী শহরে ঢুকতে পারবেন না দিল্লি সীমান্তে তিনটি বিক্ষোভস্থল থেকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *