নিউক্লিয়ার মেডিসিন থেকে আধুনিক রেডিয়োলজি, নজির গড়তে চলেছে রাজারহাটের নতুন ক্যানসার সেন্টার

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : জরায়ু ক্যানসার প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা না পড়লে জীবনের ঝুঁকি কতটা? ফুসফুসের ক্যানসারের চিকিৎসার খরচ কত? স্তন ক্যানসার বা প্রস্টেট ক্যানসার ধরা পড়লেই মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়ে সকলের মাথার উপর । ক্যানসার। এই একটি শব্দেই অনেকটাই হৃদস্পন্দন বেড়ে যায় । তবে আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থায় এই রোগের সঙ্গে লড়াই করা সম্ভব হলেও , তবে এখনও অধরা সম্পূর্ণ আরোগ্যের চাবিকাঠি । তার উপর ডায়াগোনসিস থেকে কেমোথেরাপি— পাহাড় প্রমাণ বিপুল খরচ এর থেকে বাঁচতে মাঝপথে চিকিৎসাই বন্ধ করে দেন অনেকেই। কেউ আবার পাড়ি দেন ভিন্ রাজ্যে। রোগের পরীক্ষা নিরীক্ষা থেকে আধুনিক রেডিয়োথেরাপি, ক্যানসার চিকিৎসার সম্পূর্ণ পরিকাঠামো এক ছাতার তলায় নিয়ে এলো ‘হেলথ কেয়ার গ্লোবাল এনটারপ্রাইজ (HCG)’।

বিশেষজ্ঞরা বলেন, ক্যানসার চিকিৎসায় রেডিয়োথেরাপির পাশাপাশি প্রয়োজন হয় নিউক্লিয়ার মেডিসিনের। এ রাজ্যে সরকারি ক্ষেত্রে শুধু এসএসকেএমেই কয়েক’শো কোটি টাকা দিয়ে এ জন্য প্রয়োজনীয় গামা মেশিন কেনা হয়েছিল। বেসরকারি ক্ষেত্রে এই মেশিন রয়েছে হাতে গোনা মাত্র কয়েকটি জায়গায়। এইচসিজি পরিচালিত ৮৮টি বেডের এই নতুন ক্যানসার হাসপাতালে আধুনিক রেডিয়োথেরাপির পাশাপাশি রয়েছে পেট সিটি স্ক্যান, সার্জিকাল অনকোলজি, রেডিয়েশন অনকোলজি, মেডিক্যাল অনকোলজি, হেমাটো অনকোলজি, বোন ম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্টের আধুনিক ও উন্নত প্রযুক্তি।

ক্যানসার রিসার্চ ও থেরাপিতে গোটা দেশেই সুনাম রয়েছে এইচসিজি-র। ক্যানসার চিকিৎসায় ক্রমাগত ভাবে একাধিক নতুন গবেষণালব্ধ পদ্ধতির পথ দেখিয়ে এসেছে তারা। যেমন, স্টিরিওট্যাকটিক রেডিয়োসার্জারি, রোবোটিক রেডিয়োসার্জারি এবং জিনের মাধ্যমে গোড়া থেকে রোগের বিনাশ। কলকাতার উপকণ্ঠে রাজারহাটে নতুন সেন্টারে এই সব কিছুরই প্রয়োগ করা হবে বলে জানিয়েছেন এইচসিজি এন্টাপ্রাইজের চেয়ারম্যান ও সিইও ডঃ বিএস অজয় কুমার। তাঁর কথায়, “রোগের নির্ণয় ও থেরাপির ব্যবস্থা একসঙ্গেই রাখা হয়েছে এই সেন্টারে। তাই ইকো ডায়াগোনস্টিকের সঙ্গে হাত মেলানো। একই ছাতার তলায় রোগীরা পাবেন সব রকমের ব্যবস্থা।এর পাশাপাশি মিলবে সংবেদনশীল, অভিজ্ঞ ডাক্তার ও নার্সদের পরামর্শও । শুধু কলকাতা নয় বাংলার অন্যান্য রাজ্য থেকেও এখানে চিকিৎসা করাতে আসতে পারেন রোগীরা। সব ব্যবস্থাই রাখছি আমরা।”

কলকাতায় বহুদিন ধরেই ক্যানসার ডায়াগোনসিস (এক্স রে, ইমেজিং ইত্যাদি) সেন্টার হিসেবে কাজ করছে ইকো ডায়াগোনস্টিক সেন্টার। এইচসিজি-র সঙ্গে তাদের এই যৌথ উদ্যোগ নিয়ে সেন্টারের সিএমডি ডঃ এসকে শর্মা বলেছেন, “গত কয়েক দশক ধরে আমরা উন্নত পরিষেবা দিয়ে আসছি ক্যানসার আক্রান্ত রোগীদের। এইচসিজি-র এই উদ্যোগের কারণে এ বার পশ্চিমবঙ্গের হাজার হাজার রোগী খুঁজে পাবে নতুন করে বাঁচার পথ।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *