অবশেষে ধূলিসাৎ হল টুইন টাওয়ার, এবার সুপারটেকের জন্য কী অপেক্ষা করছে ? অন্য প্রজেক্টের ভবিষ্যৎ কী? বাড়ছে জল্পনা

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : সারা দেশ দেখেছে কীভাবে কোটি কোটি টাকা ব্যয়ের টুইন টাওয়ার কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে হুড়মুড়িয়ে মিশে গিয়েছে মাটির সঙ্গে । দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পরেওএমনকি শেষ রক্ষা হয়নি দুর্নীতির উপর ভিত্তি করে দাঁড়িয়ে থাকা টুইন টাওয়ারের । গোটা দেশ মাটিতে মিশতে দেখেছে কমকর্তাদের গাফিলতিকেই । তবে কিছু প্রশ্ন উঠছে ইতিহাস হয়ে ওঠা এই টুইন টাওয়ার ধ্বংসের পরই। টুইন টাওয়ারের পর কি হবে নির্মাণ সংস্থা সুপারটেকের, জলঘোলা শুরু হয়ে গিয়েছে এই নিয়ে। কারণ নির্মাণাধীন অবস্থায় রয়েছে মিরাট, দিল্লি, গুরুগ্রাম, গ্রেটার নয়ডা, যমুনা এক্সপ্রেস ওয়েতে বেশ অনেকগুলি প্রকল্প । এই টুইন টাওয়ারের ধ্বংস কি প্রভাব ফেলবে সুপারটেকের অন্যান্য প্রজেক্টগুলিতে ? এই বিষয়ে মিডিয়া গ্রুপের সাথে আলাপকালে নানান প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন সুপারটেকের চেয়ারম্যান আর কে আরোরা।

সুপার টেকের চেয়ারম্যান জানান, সুপারটেকের নির্মাণাধীন অন্যান্য প্রকল্পগুলিকে কোন ভাবেই প্রভাবিত করবে না টুইন টাওয়ারের পরিণতি। এই কোম্পানির জারি করা বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, কোম্পানিটি প্রায় তৈরি করেছে ৭০ হাজারের বেশি ফ্ল্যাট। বিভিন্ন প্রকল্পে ইতিমধ্যেই নির্মাণাধীন অবস্থায় রয়েছে প্রায় ২০ হাজার ফ্ল্যাট। সুপারটেক তৈরি করেছে প্রায় ৯০ হাজার ফ্ল্যাট যার মধ্যে ৯৫২টি ফ্ল্যাট তৈরির কথা ছিল টুইন টাওয়ারে, যা সুপারটেকের মোট তৈরি ফ্ল্যাটের মাত্র এক শতাংশ। আর কে আরোরা এই বিষয়ে আরো জানান, বর্তমানে প্রায় দশ হাজার কোটি টাকার বেশি সুপারটেক গ্রুপের বাজার মূল্য। টুইন টাওয়ার নির্মাণ এবং ফ্ল্যাট বিক্রির টাকা ফেরত প্রক্রিয়ায় তাদের ৫০০ কোটি টাকা লস হয়েছে।

বর্তমানে প্রায় ২০ হাজার ফ্ল্যাট রয়েছে সুপারটেকের বিভিন্ন প্রকল্পে নির্মাণাধীন অবস্থায়। যার মধ্যে শেষ হয়ে গিয়েছে ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ ফ্ল্যাটের কাজ। তবে টুইন টাওয়ার ধ্বংসের পর একটু আর্থিক সংকটের সম্মুখীন হয়েছে সুপারটেক । আপাতত তাদের চেষ্টা চলছে তহবিল সংগ্রহের । সুপারটেকের নির্মাণাধীন ফ্ল্যাটের কাজ দুই বছরের মধ্যেই শেষ হবে। সুপারটেকের চেয়ারম্যানের মতে এই নির্মাণ সংস্থা হেরেছে শুধুমাত্র একটি প্রকল্পে , আর অন্য প্রকল্পে তাদের কোন বিতর্ক নেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *