আত্মপ্রকাশ ঘটলো ‘বঙ্গযোদ্ধা’র, এই সংগঠন লড়াই চালাবে রাজ্য ও জাতীয় স্তরে বাঙালির অধিকার নিয়ে

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : এক নতুন সংগঠন ‘বঙ্গযোদ্ধা’র আত্মপ্রকাশ হল বাঙালির অধিকার রক্ষার লড়াইয়ের জন্য । এই নতুন সংগঠনটি মূলত লড়াই করবে রাজ্য ও জাতীয়স্তরে বাঙালির অধিকার নিয়ে। এই সংগঠন কোন রাজনৈতিক সংগঠন নয়। ‘বঙ্গযোদ্ধা’র অন্যতম সদস্য হলেন প্রখ্যাত চিকিৎসক ডঃ অরিন্দম বিশ্বাস । শনিবার কলকাতা প্রেস ক্লাবে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘বঙ্গযোদ্ধা’র আত্মপ্রকাশ ঘটল বাঙালির অধিকার রক্ষা ও এবং স্বতন্ত্রতা বজায় রাখার অঙ্গীকার নিয়ে । ডঃ অরিন্দম বিশ্বাস ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন অরুণ কুমার সেন, গার্গী বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিজিৎ কুন্ডু সহ আরও অনেক ব্যক্তিত্ববর্গ।

এদিন বঙ্গযোদ্ধার দাবি সমূহ প্রকাশ করা হয় এক সাংবাদিক সম্মেলনের মধ্যদিয়ে । বাঙালির অধিকার রক্ষার লড়াইয়ে দাবি রাখা হয় । সংগঠনেরআরো দাবি ছিল পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত চাকরির পরীক্ষায় বাংলা ভাষার উপর নূন্যতম ১০০ নম্বরের পেপার বাধ্যতামূলক করতে হবে। সমস্ত সর্বভারতীয় পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ও উত্তর বাংলায় দেওয়ার অধিকার সুনিশ্চিত করতে হবে। রাজ্যের যেকোন বোর্ড পরীক্ষায় একদম প্রাথমিক স্তর থেকে বাংলা ভাষাকে আবশ্যক ঘোষণা করতে হবে। শিক্ষাকে যৌথ তালিকা থেকে রাজ্য তালিকায় স্থান দিতে হবে। রাজ্যের সমস্ত সিনেমাহলে বাংলা সিনেমার জন্য ৫০ শতাংশ সংরক্ষণ রাখতে হবে। ভারতীয় সেনাবাহিনীতে বাংলা রেজিমেন্ট চালু করতে হবে।

এছাড়াও ভারতবর্ষের আর এক নাম হিন্দুস্তান এই জাতীয় প্রচার চালানো সমস্ত প্রকাশনীকে এই কথাগুলিকে তাদের প্রকাশনী বই থেকে প্রত্যাহার করতে বাধ্য করতে হবে। এবং পুনরায় একই কাজ করলে তাদের লাইসেন্স বাতিল করতে হবে। পশ্চিমবঙ্গের বাঙালি তথা ভূমিসন্তানদের ওপর জোর করে হিন্দি চাপিয়ে দেওয়ার চক্রান্তের বিরুদ্ধে বঙ্গযোদ্ধা রাজ্যজুড়ে লড়াইয়ে নামবে। বঙ্গযোদ্ধা এই লড়াই করবে বাঙালির বঞ্চনা ও অবহেলার বিরুদ্ধেই । বঙ্গযোদ্ধার অন্যতম সদস্য ডঃ অরিন্দম বিশ্বাস এও বলেন, “একটা ইনিংস শেষ হয়েছে, আর একটা ইনিংস শুরু হল। কিন্তু আমার নীতিবোধ পাল্টায়নি।”

তিনি আরও বলেন, “আমি একজন চিকিৎসক হয়ে বুঝেছি, বিভিন্ন দিক থেকে বাঙালিদের উপর একটা চাপ আসছে। এর কোন আন্দোলন নেই। হাসপাতালে গিয়ে মানুষ ভিখারি হয়ে যাচ্ছে। বেসরকারি হাসপাতালে যেভাবে খরচ উঠছে, তার উপর নিয়ন্ত্রণ করতে সরকার ব্যর্থ হচ্ছে। এর জন্য বসে থাকলে হবে না, আমাদের আন্দোলন করতে হবে। অবাঙালিদের প্রতি আমাদের কোনও বৈরিতা নেই। আমি অন্য ভাষাকে ঘৃণা করিনা। কিন্তু জোর করে কিছু চাপানো হলে, প্রতিবাদ, প্রতিরোধ তীব্র হবে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *