এই তীর্থক্ষেত্র ধন্য শ্রীরামচন্দ্রের চরণধূলিতে , অন্যতম জ্যোতির্লিঙ্গ রয়েছে যেখানে

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : ত্রেতাযুগে এই স্থান ধন্য হয়েছিল শ্রীরামচন্দ্রের চরণধূলিতে। এখানকার জ্যোতির্লিঙ্গের নাম মূলত রামেশ্বরম রামের ঈশ্বর রূপে । এই তীর্থস্থান বর্তমানে রয়েছে তামিলনাড়ুর রামনাথপুরম জেলার পাম্বান দ্বীপে । শিবের দ্বাদশ জ্যোতির্লিঙ্গের মধ্যে অন্যতম তো বটেই। এমনকি অন্যতম দেশের চার ধামের মধ্যেও । একে দক্ষিণ ভারতের কাশীও বলে থাকেন শাস্ত্রজ্ঞদের অনেকে।রামেশ্বরম একটি দ্বীপের আকারে গড়ে উঠেছে দক্ষিণ-পূর্ব ভারতের শেষ প্রান্তভূমি পক প্রণালীতে। মূলত বিশাল আকারের এখানকার জ্যোতির্লিঙ্গটি। এখানে পর্যটকরা এমনকি ভিড় করেন সারা বছর ধরেই । রামেশ্বর স্তম্ভ রয়েছে এই মন্দিরে।

৮৬৫ ফুট লম্বা ৬৫৭ ফুট চওড়া এখানকার জ্যোতির্লিঙ্গ মন্দিরti । এই মন্দিরের চত্বরে আরও কয়েকটি ছোট আকারের মন্দির আছে শিব মন্দির ছাড়াও। যার মধ্যে দক্ষিণ দিকে আছে রামেশ্বরী বা দেবী পার্বতীর মন্দির। প্রতি সপ্তাহেই শুক্রবার করে মন্দিরের সামনে থেকে শোভাযাত্রা বের হয় এই পার্বতী মন্দিরের মূর্তিকে নবরত্নে সাজিয়ে সোনার পালঙ্কে বসিয়ে।সঙ্গে চলে বেদপাঠ।

এখানে রয়েছে ১২ ফুট লম্বা চুন-বালিতে তৈরি একটি নন্দীমূর্তিও ।গর্ভমন্দিরে প্রবেশ করতে হয় সেই নন্দীমূর্তির পাশ দিয়ে গিয়েই। শুধু তাই নয়. এর গর্ভমন্দিরেই রয়েছে রামেশ্বরম শিবের লিঙ্গমূর্তি।কথিত আছে, এই মন্দিরে স্থাপিত রয়েছে সীতাদেবীর বালি দিয়ে তৈরি মূর্তি ও রামচন্দ্রের প্রতিষ্ঠিত শিবলিঙ্গ । এই মন্দিরে নাকি দুটি লিঙ্গ আছে বলে মনে করা হয়। তার মধ্যে মনে করা হয় একটি সীতা পূজা করতেন বলে। অন্যটি পূজা করতেন হনুমান। সীতা ও হনুমান এই পূজা করেন লঙ্কা জয় করে আসার পর ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *