এক বিশাল গর্ত প্রকৃতির বুকেই, যেন গিলে খাচ্ছে সবকিছুই! চরম দুঃচিন্তায় বিজ্ঞানীরা

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : আজও বিজ্ঞানের কাছে অধরা প্রকৃতির সৃষ্টি রহস্য । প্রকৃতির সৃষ্টি ভরা অবাক, অনন্ত, অভাবনীয় এবং জটিল রহস্যে। বহুবার মানুষ চেষ্টা করেছে এই রহস্য উদঘাটনের কিন্তু ব্যর্থ হয়েছে। বর্তমানে, রাশিয়ার সাইবেরিয়ায় একটি বিশাল গর্ত আলোচনার বিষয়বস্তু হয়ে উঠেছে বিজ্ঞানীদের কাছে । যাকে বিজ্ঞানীরা অভিহিত করেছেন এমনকি মাউথ টু হেল বলেও।

সেখানকার বাসিন্দাদের মনে এমনকি এক চাপা আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে বিশালাকার এই গর্ত নিয়ে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের দাবি, গর্তটি ক্রমেই বড় হয়ে উঠছে। যেন গিলে খাচ্ছে চারপাশের সবকিছুকেই। স্থানীয়রা এর নাম দিয়েছেন ‘ডোরওয়ে টু আন্ডারওয়ার্ল্ড’। ক্রমশ;ই চর্চা শুরু হয়েছে এই বিরাট গর্তকে নিয়ে । বিজ্ঞানীরা এমনকি এও জানিয়েছেন এই গর্তের আকার অনেকটাই বেড়েছে ১৯৮০ সালের তুলনায়। দৈর্ঘ্য ১ কিলোমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে এবং গভীরতা বেড়ে হয়েছে ৮৬ মিটার। সেই সঙ্গে বিজ্ঞানীরা আরও জানিয়েছেন গর্তের উপরিভাগে যে মাটির স্তর রয়েছে তা প্রায় পুরনো ৬ লক্ষ বছরের।

তবে সব থেকে চিন্তার বিষয় গর্তটি প্রতিবছরই বেড়ে চলেছে ২০ থেকে ৩০ মিটার সেই সঙ্গে গিলে খাচ্ছে আশেপাশের সবকিছুকে। বিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করেন যে বিশাল গর্তটি একটি গলে যাওয়া বরফের ফলাফল। তাদের ধারণা যখন ১৯৬০ সালে বনাঞ্চল পরিষ্কার করা শুরু হয় তখন আচমকাই বরফাবৃত মাটি গলতে শুরু করে সুর্যের তাপ লেগে এই গর্তের সৃষ্টি হয়েছে যার ফলেই। জঙ্গল কাটার ফলেই যে এই গর্তের সৃষ্টি হয়েছে বিজ্ঞানীরা তা একপ্রকার নিশ্চিত। বিজ্ঞানীরা ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন যে বিশ্বব্যাপী উষ্ণায়নের প্রভাবে শীঘ্রই আরও ‘মাউথ টু হেল’ দেখা দিতে পারে বিশ্বজুড়ে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *