পুরীতে কবে থেকে শুরু হল রথযাত্রা, এবার জেনে নিন সেই ইতিহাস

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : রথযাত্রা বলতেই সবার আগে আসে পুরীর নাম। কারণ, বাকি সব জায়গায় রথযাত্রা হয় পুরীকে অনুসরণ করেই। আর, সব কিছুরই আছে একটা ইতিহাস । কিন্তু, পুরীতে কবে থেকে রথযাত্রা শুরু হয়েছিল, তা নিয়ে দেখতে পাওয়া যায় বিস্তর মতভেদও ।

এক্ষেত্রে অনেকেই ওড়িশার প্রাচীন পুঁথি ‘ব্রহ্মাণ্ডপুরাণ’-এর ওপর ভরসা রাখেন । এই পুঁথি অনুযায়ী, জগন্নাথদেব, বলরাম এবং সুভদ্রার মূর্তি তৈরি হয় মহারাজ ইন্দ্রদ্যুম্নর আমলে। একইসঙ্গে চালু হয় রথযাত্রাও। এদিকে বিভিন্ন ইতিহাসবিদদের এও দাবি, পুরীর জগন্নাথ মন্দির তৈরি হয়েছিল ১০৭৮ সালে । তা বর্তমান জগন্নাথ মন্দিরের চেহারা নেয় ১১৭৪ সালে মেরামতির পর।

কিন্তু, আবার ‘রথ চকদ’ নামে আর একটি গ্রন্থে উল্লেখ আছে যে আটের শতকে রথযাত্রা উৎসব উদযাপন করেছিলেন রাজা যযাতি কেশরী। সেই সময় তিনি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন শ্রীজগন্নাথদেব, বলরাম এবং সুভদ্রার বিগ্রহ।‘মাদলা পঞ্জী’ নামে একটি কালানুক্রমিক বিবরণমূলক গ্রন্থ থেকে জানা যায়, আগে ‘মালিনী নদী’ নামে একটি নদী পড়ত শ্রীজগন্নাথ মন্দির থেকে গুন্ডিচা মন্দিরে যাওয়ার পথে । ওই নদী পরিচিত ছিল ‘বডা নাই’ বা বড় নদী নামেও। ওই সময়ে এই রথযাত্রায় অংশ নিত রাজার ছয়টি রথ। শ্রীজগন্নাথদেব, বলরাম এবং সুভদ্রা এবং সুদর্শন চক্রকে ওই নদীর দিকে বহন করে নিয়ে যাওয়ার জন্য ব্যবহৃত হত তিনটি রথ । তারপর বিগ্রহগুলি নৌকোয় চাপিয়ে নিয়ে যাওয়া হত নদীর অপর পাড়ে ।আরও তিনটি রথ থাকত সেখান থেকে গুণ্ডিচা মন্দির পর্যন্ত শ্রীজগন্নাথদেব, বলরাম এবং সুভদ্রাকে বহন করার জন্য।

কথিত আছে ‘মালিনী নদী’ পলিতে ভর্তি হয়ে যায় রাজা বীর নরসিংহ দেবের রাজত্বকালে। তারপর থেকে সরাসরি গুন্ডিচা মন্দির পর্যন্ত যায় তিনটি রথই। এই গুন্ডিচা মন্দির শ্রীজগন্নাথ মন্দির থেকে ২.৮ কিলোমিটার দূরে। ‘মাদলা পঞ্জী’ অনুযায়ী আগে কাঠ দিয়ে তৈরি ছিল গুণ্ডিচা মন্দিরটি কিন্তু তারপর রাজা বীর নরসিংহদেব সেটি পুনঃনির্মাণ করান পাথর দিয়ে। আর, এতে আরও বৃদ্ধি পায় পুরীর রথযাত্রার জৌলুসও।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *