মহাকাশ বিজ্ঞানীদের ফের বড় সাফল্য , পৃথিবীর কাছেই খোঁজ মিলল আরেকটা পৃথিবীর

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : মহাকাশ বিজ্ঞানীরা করে ফেললেন এক বড় আবিষ্কার। তাঁরা গ্রহ থেকে গ্রহাণুপুঞ্জ এমনকী আস্ত একটা সৌরমণ্ডলীর খোঁজ পেলেন এলিয়েনের উপস্থিতি নিয়ে তীব্র জল্পনার মধ্যেই। বিজ্ঞানীরা এমনকি হিসেব কষে দেখেছেন, সেই সৌরমণ্ডলের দূরত্ব খুব একটা বেশি নয় আমাদের এই পৃথিবী থেকে। সেই মণ্ডলেই রয়েছে আমাদের এই পৃথিবীর মতই গ্রহ। তবে, শুধুমাত্র গ্রহ নয়। একটা পরিপূর্ণ বলয় গ্রহানুপুঞ্জ, গ্রহ সমেত।এমনকি বিজ্ঞানীদের দাবি যেখানে পৃথিবীর মতোই একাধিক গ্রহ রয়েছে বলেও ।

আমাদের এই পৃথিবী থেকে ৩৩ আলোকবর্ষ দূরে রয়েছে নতুন এই সৌরমণ্ডলের মধ্যে থাকা পৃথিবীর মত দেখতে গ্রহ। বিজ্ঞানীরা মনে করছেন এটাই আমাদের সৌরমণ্ডলের কাছাকাছি থাকা নিকটতম সৌরমণ্ডলের গ্রহ বলে । সূর্যের মতই এক নক্ষত্র রয়েছে যার কেন্দ্রবিন্দুতে। বিজ্ঞানীরা সেই নক্ষত্রের নাম দিয়েছেন এইচডি ২৬৫৫।পৃথিবী যেমন সূর্যের আকর্ষণে তার চারদিকে ঘুরে চলেছে। ওই গ্রহমণ্ডলীও তার চারদিকে ঘুরছে এইচডি ২৬৫৫ নামের নক্ষত্রের আকর্ষণে। তবে, সূর্যের চেয়ে ওই নক্ষত্র আকারে ছোট। আর, তা অনেকটাই উত্তাপ হারিয়ে শীতল হয়ে পড়েছে বলেই বিজ্ঞানীরা মনে করছেন। এদিকে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার বিজ্ঞানীরা উপগ্রহ টেস-কে ওই গ্রহের মণ্ডলী আবিষ্কারের কৃতিত্ব দিয়েছেন। যার সাহায্যে মিলেছে নতুন এই সৌরমণ্ডলের খোঁজ। নতুন সৌরমণ্ডলের যে গ্রহগুলোর খোঁজ মিলেছে, সেগুলো দেখতে পৃথিবীর আকারেরই। বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, ওই গ্রহে প্রাণের উপস্থিতি থাকতে পারে।

কারণ, এইচডি ২৬৫৫ নক্ষত্রের তাপ কমলেও গ্রহগুলি তার কাছাকাছি রয়েছে। ফলে, যেটুকু তাপ তারা ওই নক্ষত্র থেকে পাচ্ছে, তার সাহায্যেই যথেষ্ট উত্তপ্ত গ্রহগুলি। ফলে বিজ্ঞানীদের মত সেখানে জলের মত তরল পদার্থের উপস্থিতি থাকা অসম্ভব নয় বলেই। আর,বিজ্ঞানীরা মনে করছেন এই তরল পদার্থই জীবন সৃষ্টির মূলে রয়েছে বলেই। তবে, এখন সবটাই অনুমান। সেই অনুমান আর বাস্তব, দুটোর মধ্যে কতটা ফারাক আছে, তা বিজ্ঞানীরা এখন দেখতে চান। সেজন্য তাঁরা নজর রাখা শুরু করেছেন নতুন খোঁজ পাওয়া গ্রহগুলোর ওপর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *