মাত্র ৮০ পয়সা খরচ হবে গাড়ির জ্বালানির জন্য ! দুর্দান্ত এক আবিষ্কার বাঁকুড়ার ব্যবসায়ীর

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : দিনের পর দিন বাড়ছে জ্বালানির খরচ, তার উপর রয়েছে পরিবেশ দূষণ। এই সবের ধারে কাছে জাননি বাঁকুড়ার এক ব্যক্তি। পুরনো গাড়িকে নতুন রূপে সাজিয়েছেন, যা দেখে অবাক হয়ে যাবেন। ভাববেন এমন একটা ওয়ান্ডার কার নিজের কাছে থাকলে মন্দ হত না। ন্যানোর ইঞ্জিন বদলে দিয়ে বিনা খরচেই তিনি গাড়ি ছোটাচ্ছেন রাস্তায়, যার কোন জ্বালানি খরচ নেই। প্রতি কিলোমিটার রাস্তা যেতে খরচ পড়ে মাত্র ৮০ পয়সা মতো।

বাঁকুড়ার কাটজুড়িডাঙা এলাকার বাসিন্দা মনোজিৎ মন্ডল পুরনো ন্যানো গাড়িকে সাজিয়েছেন এক্কেবারে অন্যরকম ভাবে। যদিও পুরনো গাড়ির ডিজাইন যেমন ছিল তেমনি রয়েছে, তবে বদলে ফেলেছেন ফিচারস। মনোজিতের বাঁকুড়া শহরে ইলেকট্রিক বাইকের ব্যবসা রয়েছে। ব্যবসার ফাঁকেই সবসময় চিন্তা করতেন কিভাবে অচিরাচরিত শক্তিকে ব্যবহার করে নতুন কিছু উদ্ভাবন করা যায়। সেই ভাবনা থেকেই ১৯,৯০০ টাকা দিয়ে কিনেছিলেন টাটা ন্যানো গাড়ি। সেই গাড়ির মডেল এক রেখে বদলে ফেলেছেন ভিতরের ফিচারস। মাত্র উনিশ দিনের মধ্যে গাড়ির পেট্রল ইঞ্জিন বদলে সেখানে লাগিয়েছেন ব্যাটারি চালিত মোটর। গাড়ির ছাদে রয়েছে সোলার প্যানেল। ৭২ ভোল্টের ব্যাটারি নিয়ে রাস্তায় ছোটাচ্ছেন তার অসাধারণ গাড়ি। গাড়িটি ৬ ঘন্টা চার্জ দিলে অন্তত ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত ছুটতে পারবে। সৌরশক্তির পাশাপাশি বিদ্যুৎ শক্তির সাহায্যেও গাড়িটির ব্যাটারির চার্জ করা যায়। গাড়িটি একবার পুরো সম্পূর্ণ চার্জ হতে বিদ্যুৎ খরচ হয় মাত্র ৬ ইউনিট,বাজার দর অনুযায়ী খরচ পরে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা। ১০০ কিলোমিটার পথ যেতে যদি মাত্র ৩০-৩৫ টাকা খরচ হয় তাহলে তা সত্যি আশ্চর্যের বিষয়।

মনোজিৎ মন্ডল মনে করছেন, তিনি যদি সরকারি ভাবে সাহায্য পান তাহলে বাজারে মাত্র ২ লক্ষ টাকা খরচে এমন গাড়ি আনতে পারবেন। যে গাড়ি কেনার সাধ্য থাকবে সাধারণ মধ্যবিত্ত মানুষেরও। উপরন্তু দূষণ থেকে বাঁচবে পরিবেশ। বাঁকুড়ার রাস্তায় এখন দাপিয়ে বেড়াচ্ছে বিশেষ সোলার-পাওয়ার্ড টাটা ন্যানো গাড়ি। মনোজিৎ মন্ডল পেট্রোল ডিজেল চালিত গাড়িকে সৌর চালিত গাড়ির রূপ দিলেন। এই গাড়িটি যখন চলবে তখন না পাবেন কোন আওয়াজ, না পাবেন কোনো ধোঁয়া। ঘন্টায় প্রায় ৮০ কিলোমিটার বেগে চলতে পারে। প্রতি কিলোমিটারে খরচ হয় মাত্র ৮০ পয়সা মতো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *