মায়ের আশীর্বাদ পাওয়া যাবে কৌশিকী অমাবস্যাতেই , করুন এই সামান্য কাজটি

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : তারাপীঠ ভক্তদের ভিড়ে একরকম গমগম করে কৌশিকী অমাবস্যায়। এমনকি ভাদ্র মাসের এই তিথি বেশ গুরুত্বপূর্ণ তন্ত্র এবং শাস্ত্র মতেও। কৌশিকী অমাবস্যার বিশেষ মাহাত্ম্য রয়েছে হিন্দু এবং বৌদ্ধ তন্ত্র সাধনায় । প্রচলিত আছে স্বর্গ এবং নরকের দুইয়ের দরজা নাকি খোলা থাকে এই বিশেষ মুহূর্তে। কৌশিকী অমাবস্যা একটু ব্যতিক্রম বছরের অন্যান্য অমাবস্যা গুলির থেকে। প্রতিবছর তারাপীঠে লক্ষ্য লক্ষ্য পুণ্যার্থী ভিড় জমান কৌশিকী অমাবস্যাতেই । মা তারা হলেন কালীর অপর এক রূপ। প্রচলিত আছে কৌশিকী অমাবস্যার দিন যথাযথ সুফল পাওয়া যায় তন্ত্র ও গুপ্ত সাধনা করলে । তাই ‘তারা রাত্রি’বলা হয় এই বিশেষ দিনটির রাত্রিকে ।

পৌরাণিক কাহিনি অনুযায়ী, দেবতাগণ চরম অতিষ্ঠ হয়ে ওঠেন শুম্ভ-নিশুম্ভের ক্রমশ অত্যাচারে। অবশেষে দেবতারা মহামায়ার তপস্যা শুরু করেন এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য। দেবতাদের তপস্যায় সন্তুষ্ট হয়ে দেবী নিজের কোষ ত্যাগ করেন এবং দেবীর অন্য এক রূপের সৃষ্টি হয় সেখান থেকে। দেবী সেইরূপ পরিচিত কৌশিকী নামেই। কারণ ব্রহ্মার দ্বারা শুম্ভ নিশুম্ভ বরপ্রাপ্ত ছিলেন যে পুরুষের সংস্পর্শে আসা কোন নারী তাঁদেরকে সংহার করতে পারবে না। কিন্তু দেবী ছিলেন শিবের অর্ধাঙ্গিনী তাই তিনি শুম্ভ নিশুম্ভকে বধ করেন কৌশিকী রূপে। অনেকে এও মনে করেন, সাধক বামা ক্ষ্যাপা তারাপীঠের মহাশ্মশানে সিদ্ধিলাভ করেছিলেন এই মহা তিথি যোগে।

সুফল পেতে কী কী করবেন ?

কৌশিকী অমাবস্যার দিন প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী মায়ের কাছে করা মনোবাঞ্ছা পূর্ণ হয় কয়েকটি নিয়ম পালন করলে।

•সন্ধ্যের পর তিনবার কালো তিল রাখতে হবে বট গাছের গোড়ায়।

•কৌশিকী অমাবস্যার দিন উপবাস এরপর পরের দিন ব্রাহ্মন ভোজন করালে তা সংসারের জন্য অত্যন্ত মঙ্গল জনক।

•পুজোর দিন অবশ্যই রাত্রিবেলা কালো রঙের পাঁচ মুখী প্রদীপ জ্বালিয়ে রাখুন বাড়ির ছাদে।

•পুজোর দিন সকালে জ্বালানো ঘিয়ের প্রদীপ জ্বালিয়ে রাখতে হবে সারা রাত পর্যন্ত। খেয়াল রাখতে হবে প্রদীপ যেন নিভে না যায়।

•গোটা নারকেল, ১০৮ টি জবা ফুলের মালা, একটু ঘি এবং আতপ চাল মাকে নিবেদন করতে হবে।

•কৌশিকী অমাবস্যার দিন অবশ্যই মাকে একটি খাঁড়া দান করুন সম্ভব হলে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *