‘আদালতে ডাকা হয়নি আপনার মুখ দেখতে ’, পুলিশ আধিকারিককে তীব্র ভর্ৎসনা কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চের
বেস্ট কলকাতা নিউজ : কেস ডায়েরি ছাড়াই আদালতে হাজির হওয়ায় বিচারপতির ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হল পুলিশ অফিসারকে। একইসঙ্গে তদন্তে একাধিক গাফিলতির অভিযোগ থাকায় আইনজীবীর রহস্যমৃত্যুর মামলায় তদন্তকারী অফিসারকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু।
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ৩ ডিসেম্বর আচমকাই নিখোঁজ হয়ে যান শিলিগুড়ি হায়দার পাড়া এলাকার বাসিন্দা তথা শিলিগুড়ি আদালতের আইনজীবী নবীন সরকার। এরপর ৪ ডিসেম্বর তারিখে NJP থানার অধীনে ফুলবাড়ি মার্ডার মোড় এলাকার ক্যানেল থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। ঘটনায় খুনের অভিযোগ দায়ের করে তাঁর পরিবার।
অভিযোগ , ঘটনার তদন্ত নেমে পুলিশের সন্দেহ হয় ওই আইনজীবী আত্মহত্যা করেছে। যদিও ওই আইনজীবীর পরিবারের সদস্যদের সন্দেহ ওই ঘটনা আত্মহত্যা নয়! এর পিছনে অন্য কোনো কারণ রয়েছে। পুলিশকেও তাঁরা সে কথা জানান। নবীন সরকারের বাবা নিউ জলপাইগুড়ি থানায় খুনের অভিযোগে এফআইআর দায়ের করেন। কিন্তু, কয়েকমাস পেরিয়ে গেলেও তদন্তে তেমন কোনও অগ্রগতি দেখতে না পেয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে তদন্তে গাফিলতির অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ির সার্কিট বেঞ্জে মামলা দায়ের করা হয়।
আবেদন গ্রহণ করা হলে গত ৪ মার্চ মামলা ওঠে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে। এরপর বিচারপতি এদিন তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিককে সকাল সাড়ে দশটায় আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন। মামলাকারীর আইনজীবী সৌরভ গাঙ্গুলি বলেন, নির্দেশ মতো এদিন সকাল সাড়ে দশটায় মামলার শুনানি শুরু হয়। দুই পক্ষের থেকে বিভিন্ন রিপোর্ট পেশ করা হয় আদালতে। এরপরই বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু তদন্তকারী অফিসার উত্তম কুমার বাগিরাকে কেস ডায়েরি পেশ করতে বলেন। কিন্তু, কেস ডায়েরি পেশ করতে না পারায় বিচারপতি তাঁকে ভর্ৎসনা করেন। তারপরেই স্পষ্ট বলে দেন, এদিনই বেলা ২ টার মধ্যে কেস ডায়েরি নিয়ে আদালতে হাজির হতে হবে। পরে দুপুর ২ টার পর ফের শুনানি শুরু হয়।