ইন্টারনেট বন্ধে চরম উদ্বিগ্ন, মাঝরাতে আচমকা উত্তরকন্যায় নিজের দফতরে এলেন মুখ্যমন্ত্রী
বেস্ট কলকাতা নিউজ : মাঝরাতে আচমকা কন্যাশ্রী ভবন ছেড়ে উত্তরবঙ্গের সচিবালয় উত্তরকন্যায় নিজের দফতরে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । তিনি উত্তরকন্যা পৌঁছতেই মাঝরাতে রীতিমতো ছুটোছুটি পরে গেল সচিবালয়জুড়ে। একের পর এক ফোন পেয়ে প্রশাসনিক কর্তারা যে যেখানে ছিলেন সকলেই ছুটলেন উত্তরকন্যার দিকে।

নেপালের অশান্তির জেরে বন্ধ রয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা। ফলে উত্তরকন্যার পাশে থাকা মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবন কন্যাশ্রী থেকে ইন্দো-নেপাল সীমান্ত সম্পর্কে কোনও খবরাখবরই নিতে পারছিলেন না তিনি। এদিকে, নেপালের শাসনক্ষমতা নিজেদের হাতে নিয়ে নিয়েছে সেনা। ফলে এবার ইন্দো-নেপাল সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশের ঝুঁকি যে অনেকটাই বাড়তে চলেছে তা বলাইবাহুল্য। প্রশাসনিক কর্তাদের দাবি, এমন অবস্থায় আর কন্যাশ্রীতে নিজেকে সামলে রাখতে পারেননি মুখ্যমন্ত্রী। মাঝরাতেই সটান হাজির হয়ে যান উত্তরকন্যায় নিজের অফিসে। সেসময় উত্তরকন্যা একদম খালি। একাই নিজের ঘরে ঢুকে যান মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে বসেই শুরু করেন একের পর এক প্রশাসনিক আধিকারিকদের ফোন করে সীমান্ত সম্পর্কে খোঁজখবর নেওয়ার কাজ।
আর মুখ্যমন্ত্রীর উত্তরকন্যা পৌঁছনোর খবরে হুড়োহুড়ি পরে যায় গোটা প্রশাসনিক মহলে। খবর পেয়েই চলে আসেন বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, মুখ্যসচিব শরদ দ্বিবেদী, শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার সি সুধাকর, মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা-সহ শীর্ষ আমলারা ৷ সেখানে বসেই সীমান্তের খবর নিতে শুরু করেন মুখ্য়মন্ত্রী। নেপালে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ থাকায় তার প্রভাব পড়ছে ইন্দো-নেপাল সীমান্ত সংলগ্ন এলাকাতেও। এতেই আরও বেশি উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন মুখ্যমন্ত্রী ৷ কথা বলেন উত্তরবঙ্গের আইজি রাজেশ কুমার যাদব, পুলিশ কমিশনার সি সুধাকর-সহ অন্যান্য পুলিশ ও প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে। নেপালের উত্তেজনার আঁচ যাতে কোনওভাবেই বাংলায় না পড়ে তা গুরুত্ব দিয়ে দেখার নির্দেশ দেন তিনি । প্রায় এক ঘণ্টার বেশি সময় তিনি উত্তরকন্যায় বৈঠক করেন । আজ বুধবার জলপাইগুড়িতে সরকারি অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর। এই বিষয়ে রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস বলেন, “নেপালের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। ইন্টারনেট না থাকায় কোনও খবরাখবর ঠিকমতো পাওয়া যাচ্ছে না। আর তিনি শুধু বাংলার নন, গোটা দেশের একজন জনপ্রিয় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। ইন্টারনেট কাজ না করায় কোনওভাবেই কোনও প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নিতে পারছিলেন না তিনি ৷ তাই বাধ্য হয়েই তিনি উত্তরকন্যায় নিজের ঘরে এসে কাজ করতে শুরু করেন ৷ আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশে এমন একটি ঘটনা ঘটেছে, তাতে মুখ্যমন্ত্রী খুবই উদ্বিগ্ন ৷