ডাক্তারবাবু রোগী দেখছেন বিনা অর্থে, আর বাইরে অপেক্ষা করছেন রোগীরা
নিজস্ব সংবাদদাতা : ডাক্তার শীর্ষেন্দু পাল আবারও সমহিমায় বিনামূল্যে রোগী দেখছেন এবং তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে চলেছেন। তিনি জানান আমি এইসব নিয়ে একেবারেই ভাবি না আজ থেকে নয় আমি আমার চিকিৎসক জীবনে শুরু থেকে ঠিক করে নিয়েছিলাম মানুষের সেবায় দিনের কি ছুটা সময় ব্যয় করব। এতে আমার কোন কষ্ট হয় না। আমি এই ভাবেই বাকি জীবনটা কাটাতে চাই। কারণ অসহায় গরীব মানুষের আশীর্বাদ আমার সাথে আছে। আজকে আমি এই জায়গায় এসে পৌঁছেছি কিছুটা হলেও তাদের আশীর্বাদের জন্যই। যারা যারা চিকিৎসার জন্য অর্থ ব্যয় করতে পারেন না আমি তাদের পাশে ছিলাম আছি এবং থাকবো। শুধু শিলিগুড়ি নয় শিলিগুড়ির বাইরে ও বিভিন্ন জায়গা জুড়ে আমি আমার সেবামূলক কাজ করে চলেছি। আর এই কাজে আমাকে সহায়তা করেছেন আমার সাথে থাকা কর্মীরা যাদের অবদান আমি কোনদিনই ভুলে যেতে পারব না। তারা না থাকলে আমি এতদূর এগোতেই পারতাম না জানালেন শীর্ষেন্দু পাল।

তিনি আরো জানান আমি যখন আমার ডাক্তারে জীবনের প্রথম দিকে ছিলাম তখন থেকেই দেখেছি অসহায় গরিব মানুষের কষ্ট রোগে যন্ত্রণায় যারা ছটফট করতেন অথচ চিকিৎসা করাতে পারতেন না, আমি বুঝলাম তাদের কষ্ট তাদের ব্যাথা। ডাক্তারি জীবনে শুরুতে আমি যখন অর্থ উপার্জন করতে শিখলাম, তখন থেকেই দুস্থ গরিব অসহায় মানুষের জন্য ভাবতে শুরু করলাম। আজকে যে আমার নাম শুনলেই তারা আশার আলো দেখতে পায় এটাই আমার কাছে অনেক বড় পাওনা ,জানান শীর্ষেন্দু পাল। আমি নিজে চেষ্টা করি মানুষের পাশে দাঁড়াতে মানুষের কাছে থাকতে। আমার ইচ্ছে শুধু শিলিগুড়ি কেন গোটা বাংলা জুড়ে দিকে আমার সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে। কতদিন ডাক্তারি করতে পারব আমি জানিনা তবে দুস্থ অসহায় মানুষের পাশে ডাক্তার শীর্ষেন্দু পাল চিরকাল ছিল আছে এবং থাকবেও। মানুষের সেবা করাই পরম ধর্ম। আর এটা আমি ভালোমতোই বুঝতে পেরেছি। তাই এত ব্যস্ততার মাঝেও আমি চেষ্টা করি আমার সময় বের করে এই দুস্থ অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে। যেটা আমাকে অনেক শক্তি এবং প্রেরণা যোগায়।