ডান্স বারের রমরমা সাধক বামাখ্যাপার সাধনা ক্ষেত্র তারাপীঠে, সঙ্গে দোসর এমনকি লুটপাট-ছিনতাই, ঠুঁটো-জগন্নাথ স্থানীয় প্রশাসন
বেস্ট কলকাতা নিউজ : তীর্থক্ষেত্রে রীতিমত রমরমিয়ে বার চলছে বাউন্সার দিয়ে । কোনো রকম অনুমতি ছাড়াই ছোট ছোট পোশাকে অশ্লীল নাচ চলছে চটুল গানের সঙ্গে । এমনকি বেলেল্লাপনাও কয়েকগুণ বেড়ে যায় একটু রাত বাড়লে । বলা ভালো তীর্থক্ষেত্রে চলছে অন্য লীলা! এখানে ওড়ানো হয় লক্ষ লক্ষ টাকা। মদ্যপায়ীদেরও এমনকি সর্বশান্ত হতে হয় মদ্যপানের সঙ্গে মহিলাদের নৃত্যে একটু বুঁদ হলেই । কেড়ে নেওয়া হয় মোবাইল, সোনার গয়না। প্রশানের কাছে এমনই গুরুতর অভিযোগ জমা পড়ছিল দিনের পর দিন । এদিকে মন্দির কমিটিও দাবি জানায় বার বন্ধের জন্য । এরপরই ওইসব অবৈধ ডান্স বারগুলোর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের পথে নামে পুলিশ প্রশাসন।
মূলত সিদ্ধপীঠ তারাপীঠ এখন রাজ্য ছড়িয়ে জায়গা করে নিয়েছে দেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের মনে। এই তীর্থক্ষেত্র আগত যাত্রীদের নেশায় বুঁদ করে অর্থ উপার্জন করতে অগনিত ডান্স বার গজিয়ে উঠেছে মন্দিরের ঢিল ছোড়া দূরত্বে। সেখানে চলছে স্বল্প পোশাকের তরুণীদের নাচ। প্রায় দিন অশান্তির সৃষ্টি হয় এনিয়ে। এমনকি অভিযোগ মদ্যপায়ীদের বাউন্সার দিয়ে মারধর করে বাইরে বের করে দেওয়া হয় বলে। এছাড়াও অভিযোগ রয়েছে টাকা, মোবাইল, সোনার গয়নাও কেড়ে নেওয়া হয় বলে।
সম্প্রতি এমনই ঘটনা ঘটেছে জয়ন্ত রায় নামে এক মদ্যপায়ীর সঙ্গে। তিনি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন প্রশাসনের সর্বত্র। তিনি আরও বলেন, ‘বারের ভিতর মদের সঙ্গে ড্রাগ মেশানো হয় একটু রাত বাড়লে। অবাধ লুঠপাট চলে হুক্কা বারে গাঁজা, চরস মিশিয়ে সকলকে বুঁদ করে। আমার সঙ্গেও একই ব্যবহার করা হয়েছে। বারের ম্যানেজার সপ্তম সিংহ এবং বাউন্সার সিলন শেখ সাড়ে তিন লক্ষ টাকা মূল্যের সোনার চেন কেড়ে নিয়েছে। আমি লিখিত অভিযোগ জানিয়েছি প্রশাসনের সর্বত্র।’
এদিকে এনিয়ে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছে মন্দির কমিটিও। মন্দিরের সভাপতি তারাময় মুখোপাধ্যায় এও বলেন, ‘কোনও তীর্থক্ষেত্রে বার কাম্য নয়। ডান্স বার তো নয়ই। প্রশাসন ব্যবস্থা গ্রহণ করুক।’ বীরভূম জেলা শাসক বিধান রায়ের আশ্বাস, ‘অভিযোগ পেয়েছি। কঠোর পদক্ষেপ করা হবে।’