দায়িত্ব নিয়ে শিলিগুড়িতে ছোটদের মিড্ -ডে – মিলের চেহারাই বদলে দিয়েছেন এমএমআইসি শ্রাবণী দত্ত

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

শিলিগুড়ি : শিলিগুড়িতে মিড ডে মিলের এমএমআইসি তিনি। আর দায়িত্ব নিয়ে মিড ডে মিলের চেহারায় বদলে দিয়েছেন শিলিগুড়িতে। তিনি আর কেউ নন ১৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং বর্তমানে মিড ডে মিলের দায়িত্বে থাকা এমএমআইসি শ্রাবণী দত্ত। শিলিগুড়িতে একের পর এক স্কুলের রান্নাঘর সাজিয়ে দিয়েছেন ।

তিনি জানান দায়িত্ব পাওয়ার পরে বেশ কয়েকটি স্কুলের রান্নাঘর নতুন ভাবে তৈরি হয়েছে। এই বর্ষার সময় যেসব বাচ্চারা আসে তাদের সমস্যা হয়। কখনো রোদে, কখনো ঠান্ডায়, আবার কখনো শীতে। একটা ভালো খাবার ঘর থাকলে ওরা ভালোভাবে বসে আনন্দ সহকারে খেতে পারবে। বাচ্চাদের দুপুরের খাওয়াটা ঠিকমতো হওয়া একান্তই প্রয়োজন , ওরা পড়াশোনা করছে , ওদের বাবা-মা অনেক লড়াই করে পড়তে পাঠাচ্ছে। এখানে যদি ওরা ঠিকমতো খাবার না পায় সমস্যা তো তৈরি হবেই। স্কুলের ছেলেমেয়েরা মাসে একেবারে সাধারণ ঘর থেকে, সেখানে ওদের বাবা-মার পক্ষে রোজ ওদের মুখে অন্ন তুলে দেওয়া হয়তো একটু কষ্টকর। যেখানে স্কুলে এসে একটু ভালো মন্দ খেতে পারছে। আমি দায়িত্ব পাওয়ার পরে অনেক স্কুলে গিয়ে দেখেছি সমস্যা অনেক, আমি বুঝতে পেরেছি। সবার সাথে আলোচনা করে কিছুটা হলেও সমস্যা সমাধান করতে পেরেছি হয়তো। এ কথা সত্যি দায়িত্ব পাওয়ার পরে শিলিগুড়িতে মিড ডে মিলের ভোল পাল্টে গেছে। বহু স্কুল কে নিয়ে অভিযোগ ছিল ওই স্কুলের অভিভাবকদের, বর্তমানে সেটা অনেকটাই কমে গেছে। আমার এলাকায় দুটো সরকারি বাংলা স্কুল আছে। সেখানে সব সময় তদারকি করি , যাতে বাচ্চাদের কোন সমস্যা না হয়।

এদিকে শ্রাবণী দত্ত মিড ডে মিলের দায়িত্ব নিয়ে বদলে দিয়েছেন অনেক কিছুই, বদলে গেছে কিছু শিক্ষক-শিক্ষিকার মানসিকতাও। তিনি আরো জানান আমি খুশি আমার কাজ নিয়ে। আর এইসব ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের মুখে যদি একটু হাসি ফোটাতে পারি তবে আমি সব থেকে বেশি খুশি থাকব, আর এটাই আমার সবথেকে বড় পুরস্কার। এমনকি মিড ডে মিলকে নিয়ে অভিযোগ বিস্তর জমা পড়ছিল শিলিগুড়িতে, দায়িত্ব নিয়ে একের পর এক স্কুলের ঝামেলা মিটিয়েছেন তিনি। তিনি এও জানান বাচ্চাদের সাথে কোন অন্যায় আমি সহ্য করব না, তাই আমি সব সময় চেষ্টা করি মিড ডে মিল নিয়ে যেন কোন অভিযোগ না থাকে। ঠিক তাই করে যাচ্ছেন শ্রাবণী দত্ত, শিলিগুড়ি মানুষের কথায় একেবারেই অন্য ধরনের কাউন্সিলর তিনি। নীরবে কাজ করতেই ভালোবাসেন। যার কোন বিকল্প নেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *