পুজোয় পর্যটন কি ঘুরে দাঁড়াবে? এখন এই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে সকলের মুখে

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

নিজস্ব সংবাদদাতা : পুজো আসলেই পাহাড় যেন সেজে ওঠে, পর্যটকদের ভিড়ে ছয়লাপ হয়ে যায় পাহাড়, তিন মাস আগে থেকেই বুক হয়ে যায় হোটেল এবং লজ গুলি। যারা পর্যটন ব্যবসায়ের সাথে যুক্ত তারাও আশার আনন্দে থাকেন। কিন্তু এবার চিত্রটা সম্পূর্ণ আলাদা, দার্জিলিং এবং কাশিয়ারং এ হোটেল পুরোপুরি বুকিং হয়নি, যেটা আগে ভাবাই যেত না। হোটেল ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন করো না সময় পর্যন্ত এতটা খারাপ হয়নি পর্যটনের ব্যবসা, কিন্তু বর্তমানে পরিস্থিতি প্রচন্ড খারাপ। এর উপর আর জি করে ঘটনা বাজার সম্পূর্ণ নষ্ট করে দিয়েছে বলে মনে করছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা। তারা এও জানিয়েছেন, যেটা এখন আর হচ্ছে না। এর উপর পাহাড়ে ধ্বস নামায় অবস্থা আরো খারাপের দিকে চলে গেছে, ধ্বসের পরবর্তী সময় ঘন্টার পর ঘন্টা আটকে থাকা একটা বিভীষিকা হয়ে গেছে পর্যটকদের কাছে। এর কারণে পুজোর সময় আসতে ইচ্ছা করলেও ওই সময় মনে করে আর আসতে চাইছেন না পর্যটকেরা। বদলে সমতলের দিকেই ঝুঁকছে তারা।

আগে মিরিকেও ভিড় হতো পুজোর সময় এখন সেটাও হয় না। এই বছর ডুয়ার্সের দিকে ঝোঁক বেড়েছে মানুষের, কারণ ডুয়ার্সে কোন ঝুটি নেই। উত্তরবঙ্গকে বলা হয় পর্যটন কেন্দ্র তার তীর্থস্থান হল দার্জিলিং। আর সেই দার্জিলিঙে এবারে লোক নেই ভাবতেই পারেন না সেখানকার হোটেল মালিক এবং পর্যটকেরা। এই বছর পূজোতে রেকর্ড ভিড় হবে পর্যটকদের এই আশা করেছিলেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা, কিন্তু সে গুড়ে বালি হয়ে যাওয়ায় আপাতত হতাশায় ভুগছেন তারা।

গোটা উত্তরবঙ্গই এবারে পর্যটকদের ভিড় নেই পুজোর সময়। কবে থেকে মানুষ আসবেন, এবং কবে থেকে তাদের মুখ হাসিতে ভরে উঠবে এটা বলতে পারছেন না তারা। শোচনীয় এই পরিস্থিতিতে পর্যটকদের কাছে একবার ঘুরে যাওয়ার দাবি রাখছেন তারা। তবে এবার হতাশ পর্যটকদের একটাই উত্তর পরিস্থিতি প্রচন্ড খারাপ, টাকা পয়সা না নিয়ে গেলে কিছু করা যাবে না। তবে হোটেল ব্যবসায়ীদের আশা আরো কিছুদিন আছে হাতে যদি কিছু পরিবর্তন হয়, অবশ্য সেটা সময় বলবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *