শিলিগুড়িতে আজও চরম উপেক্ষিত বীর বিপ্লবী বাঘাযতীন
শিলিগুড়ি : শিলিগুড়ির হাসমি চক লাগোয়া এই গলি দিয়ে হেঁটে যেতে যেতে কেমন উত্তর কলকাতা উত্তর কলকাতা অনুভূতি হয়। এত সরু রাস্তা, দুজনে পাশাপাশি হাঁটা কঠিন। ছটপুজোর জন্য সেই গলিজুড়ে প্যান্ডেল। এখানেই রয়েছে প্রয়াত দেবেন পালের বিশাল স্টুডিও। আর সেখানে ঢুকে পড়লেই ওই অবিক্রিত, উপেক্ষিত কালী-দুর্গার সঙ্গে দেখা হয়। এমনকি দেখা হয় বাঘা যতীনের সঙ্গেও। একজন নন, দু’দুজন বাঘা যতীন। বুড়িবালাম নদীতীরের সেই বীর বাঘা যতীন, যা ফাইবার গ্লাসের তৈরি।
এখান থেকে এক কিলোমিটারও হবে না শিলিগুড়ি টাউন স্টেশন। একেবারে ভূতের মতো দাঁড়িয়ে টয়ট্রেন যা দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় পুরোনো স্টেশনের রেললাইনে পড়ে থাকে। জানা যায় এখানেই ১১৬ বছর আগের এক এপ্রিলে বাঘা যতীন খালি হাতে ইংরেজ মিলিটারি ক্যাপ্টেন মার্ফি, লেফটেন্যান্ট সমারভিলদের অবিশ্বাস্য ভাবে পিটিয়েছিলেন। যা ছিল স্বাধীনতার আগে শিলিগুড়ি শহরের সর্বোত্তম বৈপ্লবিক ঘটনা। মিনিট তিনেক হাঁটলে আবার বাঘা যতীন পার্ক। শিলিগুড়ির কার্জন পার্ক বলতে পারেন। একটু বাঁদিকে গেলে শহরের অন্যতম পুরোনো বাঘা যতীন ক্লাব। সেই তিন স্মৃতিময় বাঘা যতীনের মাঝে ফাইবার গ্লাসের দুই বাঘা যতীন পড়ে রয়েছেন ওই স্টুডিওতে। ওখানে শিল্পী ভূপেশ পালের কাছে শুনলাম, ২৬ বছর এভাবেই মূর্তি দুটি এখানে। কিছুই করা যায় নি, গেল না। তবে কি আছে ভবিষ্যৎ, আপাতত ভবিষ্যতই তা বলবে।