হিন্দু সহ সংখ্যালঘুদের উপর নিগ্রহ বাংলাদেশে, হিন্দু জাগরণ মঞ্চের আবেদন খতিয়ে দেখার আশ্বাস হোটেল ব্যবসায়ী সংগঠনের তরফে

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

শিলিগুড়ি : হিন্দু সহ সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের অভিযোগে উত্তপ্ত বাংলাদেশ। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশেকে বয়কটের ডাক দিয়ে শিলিগুড়ির হোটেল, নার্সিংহোমে বাংলাদেশিদের পরিষেবা না দেওয়ার আবেদন জানাল হিন্দু জাগরণ মঞ্চ। বিষয়টি নিয়ে মঞ্চের তরফে শিলিগুড়ি হোটেল মালিকদের সংগঠন ও নার্সিংহোমগুলিতে চিঠি দেওয়া হয়। ইতিমধ্যে বাংলাদেশের সমস্ত নাগরিকের ভিসা বাতিলের দাবিতে সংগঠনের তরফে কেন্দ্রীয় সরকারকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। শিলিগুড়ির হোটেল মালিকদের সংগঠন অবশ্য জাগরণ মঞ্চের এই আবেদনকে গুরুত্ব দিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে।

উল্লেখ্য বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকারের শাসনে সংখ্যালঘুদের উপর আক্রমণের অভিযোগ উঠছে। সম্প্রতি সেখানে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেপ্তারের পর থেকে পরিস্থিতি আরও অশান্ত হয়ে উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে উত্তরবঙ্গ জুড়ে বিভিন্ন জায়গায় বাংলাদেশি পণ্য বয়কটের ডাক দেওয়া হয়েছে। যার সমর্থনে পোস্টারিং চলছে ক্রমাগত ভাবে। মূলত ভারতের জাতীয় পতাকা প্রণাম না করে যে চেম্বারে প্রবেশ করা যাবে না, তা শিলিগুড়ির এক চিকিৎসক আগেই জানিয়েছেন। এদিকে শিলিগুড়িতে সাংবাদিক বৈঠক করে সমস্ত চিকিৎসক ও নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের কাছে হিন্দু জাগরণ মঞ্চের তরফে বাংলাদেশ বয়কটের ডাক দিয়ে পরিষেবা না দেওয়ার আবেদন জানানো হয়।

বিষয়টি নিয়ে হিন্দু জাগরণ মঞ্চের উত্তরবঙ্গ প্রান্তের কোষাধ্যক্ষ প্রেমলাল আগরওয়াল এও বলেন, ‘বাংলাদেশে হিন্দুদের বাড়িতে লাগাতার হামলার পাশাপাশি ভাঙচুর, লুটপাট চলছে। যেই দেশ হিন্দুদের ওপর আক্রমণ করে সেই দেশের মানুষকে কোনও সহযোগিতা করা যাবে না। এমনকি ভারতীয় জাতীয় পতাকারও অবমাননা করা হয়েছে বাংলাদেশে। বাংলাদেশকে বয়কটের মাধ্যমে তার যোগ্য জবাব দিতে হবে।’

প্রসঙ্গত , শিলিগুড়িতে চিকিৎসা, পড়াশোনা, পর্যটনের জন্য বছরভর বহু মানুষ বাংলাদেশ থেকে আসেন। এদেশ থেকে বাংলাদেশিরা বছরভর বিভিন্ন সুযোগ, সুব‌িধা নিয়ে থাকেন। মঞ্চের শিলিগুড়ি মহানগরের সংযোজক অমিত কুমার আরোও বলেন, ‘বাংলাদেশে পণ্য পাঠানো এমনিতে কমে গিয়েছে। সেটা একেবারে বন্ধ করে দিতে হবে। পাশাপাশি ওই দেশের নাগরিকদের সমস্ত ভিসা দেওয়া বন্ধ করে দিতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *