অবশেষে ক্ষতিগ্রস্ত শ্রীনগর, পুঞ্চ, রাজৌরি দেখতে যাচ্ছে তৃণমূলের ৫ সদস্যের বিশেষ প্রতিনিধি দল
বেস্ট কলকাতা নিউজ : অবশেষে পাকিস্তান সেনার গোলাগুলিতে ক্ষতিগ্রস্ত সীমান্ত এলাকায় পরিদর্শনে যাচ্ছে তৃণমূলের বিশেষ প্রতিনিধি দল। এমনকি জম্মু ও কাশ্মীরের সীমান্তবর্তী একাধিক এলাকাতেও যাবেন তৃণমূলের এই ৫ প্রতিনিধি দল। সূত্রের খবর ওই প্রতিনিধি দলে থাকছেন ডেরেক ও’ব্রায়েন, মহম্মদ নাদিমুল হক, মানসরঞ্জন ভুঁইয়া, সাগরিকা ঘোষ এবং মমতাবালা ঠাকুর। ২১ মে থেকে ২৩ মে পর্যন্ত শ্রীনগর, পুঞ্চ এবং রাজৌরির বিভিন্ন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলবেন তৃণমূলের প্রতিনিধিরা।
গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ের বৈসরনে পর্যটকদের উপর হামলা চালিয়ে জঙ্গিরা ২৬ জনকে হত্যা করার পর পাকিস্তানের সঙ্গে টানাপোড়েন বেড়েছিল ভারতের। ওই হামলার ১৫ দিনের মাথায় পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ৯টি জায়গায় আঘাত হানে ভারতীয় সেনা। একাধিক জঙ্গিঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেয়। তবে ভারতীয় সেনার তরফে স্পষ্ট করা হয়, অপারেশন সিঁদুরে শুধু জঙ্গিঘাঁটিতে আঘাত হানা হয়েছে। পাকিস্তান সেনার কোনও পরিকাঠামোয় আঘাত হানা হয়নি। কিংবা পাকিস্তানের সাধারণ নাগরিকদের নিশানা করা হয়নি। তারপরও অপারেশন সিঁদুরের পর পাকিস্তান সেনা বিনা প্ররোচনায় ভারতের সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিকে নিশানা করে। গোলাবর্ষণ করে। পাকিস্তান সেনার হামলা থেকে সাধারণ মানুষও রেহাই পাননি। শ্রীনগর, পুঞ্চ, রাজৌরিতে পাকিস্তান সেনার গোলাগুলিতে ১৫ জন সাধারণ নাগরিক প্রাণ হারান। ৪০ জনের বেশি জখম হন। বহু বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

সীমান্তবর্তী শ্রীনগর, পুঞ্চ এবং রাজৌরির ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলিতেই এবার যাবেন তৃণমূলের প্রতিনিধিরা। মঙ্গলবার তৃণমূলের অফিসিয়াল এক্স হ্যান্ডলে লেখা হয়েছে, দলের চেয়ারপার্সন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে ৫ প্রতিনিধি জম্মু ও কাশ্মীর যাবেন। বুধবার থেকে তিন দিন ধরে ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন এলাকায় সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলবেন ডেরেকরা। প্রিয়জনদের হারানো পরিবারগুলির দুঃখ ভাগ করে নেবেন বলে তৃণমূলের তরফে জানানো হয়েছে।
এদিকে, অপারেশন সিঁদুর ও সন্ত্রাসবাদ নিয়ে বিশ্বের দরবারে ভারতের অবস্থান স্পষ্ট করতে কেন্দ্র যে প্রতিনিধি দল পাঠাচ্ছে, তাতে তৃণমূলের প্রতিনিধি হিসেবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম প্রস্তাব করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রথমে কেন্দ্রের তরফে প্রতিনিধি দলে বহরমপুরের তৃণমূল সাংসদ ইউসুফ পাঠানের নাম জানানো হয়েছিল। কিন্তু, দলের সঙ্গে আলোচনা না করে কেন্দ্র সিদ্ধান্ত নেওয়ায় তৃণমূল জানিয়ে দেয়, ইউসুফ পাঠানকে পাঠানো হবে না। সূত্রের খবর, এরপর কেন্দ্রীয় সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু ফোন করে মমতার কাছে জানতে চান, তিনি কাকে প্রতিনিধি হিসেবে পাঠাবেন। উত্তরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।