অবশেষে গঙ্গা-পদ্মা সংলগ্ন নদী পাড়ের ভাঙন আটকাতে এবার নিজস্ব প্রকল্পের ভাবনা রাজ্যের তরফ থেকে

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : নদী ভাঙন রুখতে বারবার কেন্দ্রকে চিঠি দিলেও কোনও সাহায্য মেলেনি। কেন্দ্রীয় বাজেটে প্রতিবেশী রাজ্যগুলির জন্য বরাদ্দ থাকলেও বঞ্চিত বাংলা, এমনই অভিযোগ রাজ্য সরকারের। এবার তাই নিজেদের উদ্যোগেই অন্তর্বর্তীকালীন বন্যা নিয়ন্ত্রণ পরিকল্পনা গ্রহণের পথে হাঁটতে চলেছে রাজ্য। গঙ্গা-পদ্মা সংলগ্ন মালদা ও মুর্শিদাবাদে নদীভাঙন পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রায় ৬১০ কোটি টাকার প্রকল্পের কথা ভাবছে সেচ ও জলপথ দফতর । এর সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে প্রতিবেশী রাজ্য বিহার ও ঝাড়খণ্ড।

রাজ্যের সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইয়া জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে এবং মুখ্যসচিবের হস্তক্ষেপে দুই প্রতিবেশী রাজ্যের সঙ্গে প্রাথমিক পর্যায়ে আলোচনা হয়েছে । মঙ্গলবার বিধানসভায় সেচ ও জলসম্পদ অনুসন্ধান এবং বিকাশ সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির প্রথম প্রতিবেদন পেশ করতে গিয়ে মন্ত্রী বলেন, “বিহার ও ঝাড়খণ্ড রাজি হলে মুখ্যমন্ত্রীর অনুমোদন সাপেক্ষে আমরা অন্তর্বর্তী বন্যা নিয়ন্ত্রণ পরিকল্পনার দিকে এগোতে পারি।” এদিকে সেচ দফতর সূত্রে খবর, এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে সবচেয়ে বেশি উপকৃত হবেন কাটাহা দিয়ারা ও ভুতনি দিয়ারা অঞ্চলের মানুষজন। এই দুই এলাকায় দীর্ঘদিন ধরেই মূলত গঙ্গার ভাঙন প্রবল আকার নিয়েছে।

মন্ত্রী জানান, ২০১১ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত মালদায় নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ২৫৯৯ জন। তাঁদের প্রত্যেককেই জমির পাট্টা এবং বাংলার বাড়ি প্রকল্পের আওতায় ঘর তৈরির জন্য আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে। মুর্শিদাবাদে ৫২৬ জন বাংলার বাড়ি প্রকল্পে ঘর পেয়েছেন, আর ১০৩ জনকে দেওয়া হয়েছে জমির পাট্টা। এই দুই জেলায় নদী ভাঙনের কবলে পড়েছে মোট ৪১৩ টি গ্রাম এবং ২৫ ,৩২৬ বিঘা জমি। তবু কেন্দ্র এখনও পর্যন্ত এক টাকাও দেয়নি বলে অভিযোগ করেন মন্ত্রী।

তিনি আরও বলেন, “সুন্দরবনের ৩৯ টি দ্বীপের বাসিন্দাদের নোনা জল ও নদী ভাঙনের সমস্যা থেকে রক্ষা করতে রাজ্য একটি ৪১০০ কোটি টাকার প্রকল্প তৈরি করেছে, যার অর্থায়ন করবে বিশ্বব্যাংক। কেন্দ্রের কাছে কেবল অনুমোদনের জন্যই ফাইল পাঠানো হয়েছে । কিন্তু দীর্ঘদিন কেটে গেলেও এখনও কোনও সাড়া মেলেনি।” রাজ্যের বক্তব্য, কেন্দ্র দায়িত্ব না নিলেও, মানুষকে রক্ষা করতে রাজ্য কোনও খামতি রাখবে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *