অবশেষে ৬০০ কোটি টাকার মালিক মার্কিন মু্লুকের চাকরি ছেড়ে দিয়ে ! শূন্য থেকেই ছিল পীযুষ বনসলের শুরুটা
বেস্ট কলকাতা নিউজ : লেন্সকার্ট চশমার জনপ্রিয়তা এমনকি বিদেশে পৌঁছে গিয়েছে দেশের গণ্ডি অতিক্রম ছাড়িয়ে ।আপনার মনের মতো চশমা দোরগোড়ায় দিয়ে যাবে অনলাইনে নিজের পছন্দ অনুযায়ী অর্ডার করলে। যার শুরুটা হয়েছিল এক্কেবারে অন্যরকম ভাবে। এক ব্যক্তি দেশে চলে এসেছিলেন কোটি কোটি টাকার চাকরি ছেড়ে দিয়ে নিজে কিছু করবেন বলে। আজ সেই ব্যক্তি প্রায় ৬০০ কোটির মালিক। তিনি প্রমাণ করে দিয়েছেন দু’চোখ ভরা স্বপ্ন আর বুকে সাহসে ভর করে অনেক কিছুই করা যায়। ইনি হলেন পীযুষ বনসল । যিনি না থাকলে দেশ পেত না লেন্সকার্টের মতো চশমা।
তিনি জন্মগ্রহণ করেছিলেন দিল্লির এক সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারে । পড়াশুনা করেছিলে দিল্লির ডনবস্কো স্কুলে। তারপর যান কানাডায়। লাভ করেন। পড়াশুনায় ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ডিগ্রিও। একটার পর একটা ধাপ পেরিয়ে চাকরি পান মাইক্রোসফটে। সেখানে রাতারাতি তাঁর জীবন বদলে দেয় বিল গেটসের সঙ্গে সাক্ষাৎকার। সেই সময় দাঁড়িয়ে তিনি বিলাসী জীবনযাপনের কথা ভাবেনি। শুধুমাত্র টার্গেট রেখেছিলেন নিজে কিছু করবেন। ২০০৭ সালে দেশে ফিরে আসেন নিজে কিছু করার তাগিদে। খেয়াল করেন, ভারতের প্রায় পঞ্চাশ শতাংশ মানুষের স্বাভাবিক জীবন যাপনের ক্ষেত্রে চশমা অত্যন্ত প্রয়োজন। তাঁর কর্মজীবনের পরতে পরতে রয়েছে দুঃসাহসিকতা। তিনি বারংবার চ্যালেঞ্জ নিয়েছেন। বর্তমানে তিনি একজন অন্যতম ধনী ব্যক্তি, তাঁর সম্পদের পরিমাণ প্রায় ৬০০ কোটি। তাঁর হাতেই সূচনা হয়েছে লেন্সকার্টের (Lenskart)। তিনি এবং তাঁর প্রতিষ্ঠান বারংবার স্বীকৃত হয়েছে বৈশ্বিক বিভিন্ন সংস্থা দ্বারা । তাঁর ঝুলিতে রয়েছে একাধিক পুরস্কার। কিছুদিন আগেই ভারতের টিভিতে সম্প্রচারিত শার্কস ট্যাঙ্ক ইন্ডিয়ার অন্যান্য বিচারকদের সঙ্গে দেখা গিয়েছে। তিনি দেখিয়েছেন কিভাবে শূন্য থেকে শুরু করে একদম টপে পৌঁছানো যায়।