অভিযুক্ত বাঘের মতো নজর রেখেছিল তিলোত্তমার উপর ! গা শিরশিরে ছবি সিসিটিভি ফুটেজে

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : শিকার ধরার আগে, বাঘ যেভাবে আড়াল থেকে শিকারের উপর নজর রাখে, অনেকটা সেই রকম। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের প্রশিক্ষণাধীন মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগের মামলার তদন্তে সিবিআই-এর তদন্তকারীদের হাতে এল গা শিরশিরে এক সিসিটিভি ফুটেজ। ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, অপরাধের কয়েক ঘণ্টা আগে তিলোত্তমার খুব কাছেই ছিল অভিযুক্ত সিভিক ভলন্টিয়র। সিবিআই-এর এক সূতকে উদ্ধৃত করে সিএনএ-নিউজ১৮ জানিয়েছে, ওই সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, অপরাধের মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে ৩৩ বছরের অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ার, খুব কাছ থেকে নজর রাখছিলেন তিলোত্তমার উপর। সিসিটিভি ফুটেজে তিলোত্তমার দিকে ভয়ঙ্কর নজরে তাকিয়ে থাকতে দেখা গিয়েছে অভিযুক্তকে।

সিবিআই-এর জেরার মুখে নিজের অপরাধ স্বীকারও করে নিয়েছে ধৃত অভিযুক্ত। সে আরও জানিয়েছে, হামলার আগে, ৮ অগস্ট টেস্ট মেডিসিন ওয়ার্ডে ৩১ বছর বয়সী তিলোত্তমার উপর নজর রেখেছিল সে। সিসিটিভি ফুটেজে তার এই দাবি সত্যি বলে প্রমাণিত হয়েছে। অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিরয়ের ‘যৌন বিকৃতি’ আছে এবং তার প্রবৃত্তি ‘পশু-সদৃশ’ বলে জানিয়েছে সিবিআই-এর ওই সূত্র। সূত্রটি আরও জানিয়েছে, যে ঘটনায় গোটা দেশ হতবাক, ক্ষুব্ধ, সেই ঘটনা নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের সময় ধৃতর মধ্যে কোন অনুশোচনা দেখা যায়নি।

এদিকে, এই ঘটনার বিষয়ে একটি স্বতঃপ্রণোদিত মামলা গ্রহণ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। চিকিৎসক ও চিকিৎসা কর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এর জন্য একটি জাতীয় টাস্ক ফোর্সও গঠন করা হয়েছে। মঙ্গলবারের পর, বৃহস্পতিবারও চিকিৎসকদের কর্মবরতিতে ইতি টেনে কাজে ফেরার আবেদন করেছিল। আদালত আরও আশ্বাস দিয়েছে, আন্দোলন করার জন্য তাদের বিরুদ্ধে কোনও প্রতিকূল ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। সুপ্রিম কোর্টের এই আবেদনের পর, দিল্লির অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সেস (AIIMS)-এর ডাক্তাররা তাদের ১১ দিনের ধর্মঘট শেষ করেছেন এবং আবার কাজ শুরু করেছেন। রেসিডেন্ট ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, আদালতের আশ্বাসে তারা কাজেফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে, কর্মবিরতির পথ থেকে এখনই সরছে না পশ্চিমবঙ্গের জুনিয়র চিকিৎসকদের সংগঠন, জুনিয়র ডক্টর্স ফ্রন্ট। তারা জানিয়েছে, তদন্তের গতিপ্রকৃতি ইতিবাচক না হ‌ওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি জারি থাকবে তাদের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *