অলিম্পিক ভ্রমণ আমার কাছে এক অসাধারণ অভিজ্ঞতা, জানালেন ক্রীড়াবিদ বিদ্যুৎ বসাক

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

নিজস্ব সংবাদদাতা : প্রথমবার , অলিম্পিকে গেলাম আমি অসাধারণ এক অভিজ্ঞতা এবং জীবনে সর্বোচ্চ পুরস্কার হয়তো পেলাম আমি। জানালেন বিদ্যুৎ বসাক। ভাই বিপ্লব বসাকের সাথে তুমি এবার গিয়েছিলেন প্যারিস অলিম্পিক দেখতে। অলিম্পিকের মাঝ পথে গিয়ে পৌঁছেছিলেন তিনি, জালালের প্যারিস এক মায়াবী শহর, যেখানে ফুর্তি আছে আনন্দ আছে কিন্তু দুঃখ কষ্ট নেই। সবচাইতে বড় কথা এখানে খেলা পাগল মানুষ আছেন তারা দেখলাম সব দেশের খেলাকেই সমর্থন করেন। একমাত্র নিজের দেশ ছাড়া যে কাউকে সমর্থন করেন না তা নয়, হ্যাঁ সবাই নিজের দেশকে সমর্থন করবেন ই তবে অন্য দেশকে সমর্থন করেন। আমার সবচেয়ে কষ্ট লেগেছে ভিনেশ ফোগট এর ব্যাপারটি। কি কারনে ও পদক পেল না এই ব্যাপারটি আমার কাছে বড় আশ্চর্যের লেগেছে, ওতো ফাইনালে উঠেছিল বিশ্বসেরা দের হারিয়ে, তবে কেন রুপ পাবেনা? এটাই আমি বুঝতে পারলাম না। সব মিলিয়ে আমি মনে করি আমার ব্যক্তিগত মত এবারের অলিম্পিকে ভারতের পারফরম্যান্স আশানুরূপ না হলেও, বেশ কিছু জায়গায় এক চুলের জন্য হলে ফসকে গেছে পদক। যেটা ভারতের মতো দেশের কাছে খুবই দুর্ভাগ্য। লক্ষ্য সেনের দুর্ভাগ্য এত ভালো করে ও পদক পেল না। দীপিকা কুমারী, এবং মহিলাদের টেবিল টেনিস আশা জাগিয়েও পদক পেল না। পিভি সিন্ধু আমাদের হতাশ করেছে, হতাশ করেছে শুটিং ও। যে আশা নিয়ে ভারত গিয়েছিল এবারের অলিম্পিকে এই আশা এবার হতাশায় পরিণত হয়েছে।

যাইহোক যেটা হয়ে গেছে হয়ে গেছে আমি অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করে দেশে ফিরলাম, চেষ্টা করব এটা আমাদের খেলোয়ারদের মধ্যে ছড়িয়ে যাওয়ার। বিশেষ করে ওদের কাছ থেকে যেটা আমাদের শিখবার সবচাইতে বড় এটা হল ওদের মানসিকতা, এবং হার না মানা মনোভাব এটাই ওদেরকে আন্তর্জাতিক স্তরে পৌঁছে দিয়েছে। ছোটবেলা থেকেই যখন আমি খেলাধুলো নিয়ে চলতে শুরু করেছি, তখনই আমার স্বপ্ন ছিল অলিম্পিক দেখবার, আর সেটাই আমি এই বছর পূরণ করলাম। জানালেন বিদ্যুৎ বসাক। এতো দূরে গিয়ে অলিম্পিক দেখা হয়ে গেছে বিশাল সৌভাগ্য। যেটা আমি অর্জন করলাম। আবার কখনো সুযোগ হবে কিনা জানিনা জানালেন বিদ্যুৎ বসাক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *