আটকে বহু পর্যটক, ফিরতে পারছে না রাস্তায় পড়ে থাকা পাথরের কারণে, চূড়ান্ত খারাপ অবস্থা সিকিমে

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

নিজস্ব সংবাদদাতা : সাবধান করে দিলেও মেনে নেননি অনেকে, রওনা দিয়েছেন দুর্গম সিকিমে, আসলে সিকিমের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য হাতছানি দিয়ে ডাকে সবাইকে আর পর্যটকরাও তার ব্যতিক্রম নন। সরকারে নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও বহু পর্যটক তার পরিবার নিয়ে বর্তমানে সিকিমে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করে ফিরবার পথে যত সমস্যায় পড়ে যাচ্ছে, গ্যাংটক থেকে এনজিপিতে এসে পৌঁছচ্ছে পর্যটক বোঝাই চারচাকা গাড়ি। উপায় নেই ফিরতেই হবে প্রায় তিন গুন টাকা দিয়ে গাড়ি বুক করেছে অনেকে। পর্যটকরা জানান বাজেটের টাকা শেষ হয়ে গেছে কলকাতায় ফোন করে গুগল পেতে তাদের আত্মীয়-স্বজন এবং বন্ধুবান্ধবদের টাকা পাঠাতে অনুরোধ করছেন অনেকে , আর এখন সেভাবেই রাস্তায় তাদের খাবার অন্যান্য জরুরী পণ্যের বিল মেটাচ্ছেন তারা। কারণ রাস্তায় গাড়ি আটকে থাকছে আধঘন্টা থেকে দেড় ঘন্টার মত সেই সময় তাদের কাছে খাওয়ার থাকছে লাল চা কেক এবং ওয়াই- ওয়াই। উপায় নেই ওই খেয়ে থাকতে হচ্ছে ৮ থেকে ৮০ বছর বয়সী পর্যটকদের। কারণ গন্তব্যস্থলে কখন পৌঁছবেন জানেন না কেউ ই। অনেক পর্যটক ওই দিনেই কলকাতা ফেরার কথা দার্জিলিং মেল ধরতে পারেননি তাদের ভরসা এনজিপি সামনে থাকা হোটেলগুলি, সেখানেই খেয়ে রাতে যাপন করছেন তারা।

অনেক অনুরোধ করে অনেকে কোনভাবে একটা ঘর নিয়ে ঘেষাঘষি করে ৮ থেকে ১০ জন এক ঘরে থাকছেন। কষ্ট হলেও উপায় নেই যে, যে আকর্ষণে তারা পাহাড়ে বেড়াতে এসেছিলেন এই আকর্ষনই তাদের কাছ থেকে চলে গেছে, এখন যেভাবেই হোক বাড়ি ফিরতে পারলেই বাঁচেন তারা। প্রায় তিনগুণ টাকা দিয়ে অনেকে সিকিম থেকে কলকাতা ফিরতে চলেছেন। অনেকেই এনজিপিতে এসে তাদের চেনা পরিচিত অথবা আত্মীয়ের বাড়িতে চলে গেছেন। আর যাদের কেউ নেই তারা আর কোন দিক না দেখে যেভাবেই হোক কলকাতা ফেরার বন্দোবস্ত করছেন। এখনো সিকিমে আটকে হাজার তিনের পর্যটক। কেউ জানেন না কিভাবে বাড়ি ফিরবে, আর একসাথে এত পর্যটককে নিয়ে বেশি ভাড়া দিলেও ফিরতে চাইছে না গাড়িগুলি। অনেকেই মনে করছেন গোয়ার তুমি করে সিকিমে এসে মস্ত ভুল করে ফেলেছেন তারা। সব মিলিয়ে এবারে চূড়ান্ত খারাপ অভিজ্ঞতা তৈরি হলো সিকিম ফেরত পর্যটকদের। যেটা কোনদিনও ভুলতে পারবেন না তারা। প্রতিবছরে সিকিমে ধস নামে কিন্তু এবারের প্রাকৃতিক বিপর্যয় অন্যান্য বারের চাইতে অনেক বেশি ভয়ংকর এবং অনেক আলাদা, তাই পর্যটক এবং স্থানীয় মানুষের ক্ষতি ও হয়েছে অনেকটাই বেশি। অনেক পর্যটক জানিয়েছেন এবার তারা সিকিম আসার আগে দশবার ভাববেন। কারণ বয়স্কএবং বাচ্চাদের নিয়ে এসে এইভাবে বিপাকে পড়তে চাইছেন না কেউ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *