আনারুলের নির্দেশেই সোনা শেখের বাড়িতে আগুন লাগোনো হয়েছিল বগটুইহত্যার রাতে, এমনি চাঞ্চল্যকর দাবি সিবিআই-এর
বেস্ট কলকাতা নিউজ : তৃণমূল ব্লক সভাপতি আনারুল হোসেনের নির্দেশেই সোনা সেখ এর বাড়িতে আগুন লাগানো হয়েছিল বগটুই গণহত্যার রাতে। সিবিআই এই ব্যাপারে একপ্রকার নিশ্চিত হয়েছে অভিযুক্তদের জেরা করে। এদিকে সূত্রের খবর, আজাদ শেখই আগুন লাগিয়েছিলেন সোনা শেখের বাড়িতে।এমনকি এই ঘটনায় তদন্তকারীরা খতিয়ে দেখছেন পুলিশের ভূমিকাও।
আবার সিবিআই সূত্রের খবর, ২১ মার্চ রাতেই আজাদ শেখ বগটুই গ্রামে আগুন লাগিয়েছিল তৃণমূলের রামপুরহাট ১ নম্বর ব্লকের বহিষ্কৃত সভাপতি আনারুল শেখের নির্দেশেই।রীতিমতো নাকি পেট্রোলপাম্প থেকে ডিজেল কিনে সোনা শেখের বাড়িতে আগুন লাগানো হয়। মঙ্গলবার এই ঘটনায় সিবিআই অভিযুক্ত ১৯ জনকে ক্যাম্প অফিসে নিয়ে আসে। সেখানে গোয়েন্দারা তাঁদের মুখোমুখি বসিয়ে জেরাও করেন। আর সেখান থেকেই উঠে এসেছে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য।এছাড়া সিবিআই এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা খতিয়ে দেখতে গিয়ে জেরা করছে ১ সাব ইন্সপেকটর এবং তিন অ্যাসিট্যান্ট সাব ইন্সপেকটরকেও। এমনকি খতিয়ে দেখা হচ্ছে তাঁদের কাছে নিষ্ক্রিয় থাকার জন্য কোনো নির্দেশ এসেছিল কিনা, সেটাও। কারণ ইতিমধ্যেই চোখ কপালে তোলা তথ্য মিলেছে স্বজনহারাদের বয়ানে পাশাপাশি ঘটনাস্থল থেকে আঙুলের ছাপ সংগ্রহ করে গোয়েন্দারা অভিযুক্তদের আঙুলের ছাপের সঙ্গে মেলানোর চেষ্টা করছেন।
সিবিআই-র হাতে চাঞ্চল্যকর তথ্য এল বগটুই হত্যাকাণ্ডে স্বজনহারাদের জিজ্ঞাদাবাদ করতেই। উল্লেখ্য, বগটুই হত্যাকাণ্ডে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা গুরুত্ব দিয়েছে স্বজনহারাদের বয়ানের উপরই। এই ঘটনায় রামপুরহাটের অস্থায়ী শিবিরে সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদ চালায় সাসপেন্ড হওয়া ত্রিদিব প্রামাণিককেও ডেকে নিয়ে। এছাড়া তদন্তকারীর দল মিহিলাল এবং শেখলালকে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চালায়। আর এরপরেই সিবিআই-র হাতে উঠে এসেছে মোবাইলের ছবি-র মতো চাঞ্চল্যকর তথ্য।
বীরভূম বগটুই হত্যাকাণ্ডে রামপুরহাটের অস্থায়ী শিবিরে প্রথমে মিহিলালের বয়ান রেকর্ড করা হয় । এরপর তাঁকে কুমাড্ডা গ্রামে নিয়ে গিয়ে জেরা করা হয় শেখলালের মুখোমুখি । উল্লেখ্য, এর আগে সোমবারই শেখলালের স্ত্রী নাজমা বিবি ও অপরদিকে, ঘটনার পরেই শেখলাল বগটুই ছেড়ে কুমাড্ডা গ্রামে মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে আশ্রয় নেন। আপাতত সেখানেই আছেন তিনি। শেখলাল এদিন তাঁর হাতে তোলা কিছু ছবি সিবিআই তদন্তকারীদের হাতে তুলে দেন। শেখলালের দাবি, ছবিতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে, পুড়ছে তাঁর বাড়ি। এমনকি পুলিশ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে তা দেখছে। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় প্রশ্ন উঠেছে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও।