একজন পঞ্চম, অন্যজন সপ্তম, একই পরিবারের দুই ভাই-বোন এবার স্থান পেলো উচ্চমাধ্যমিকের মেধাতালিকায়
বেস্ট কলকাতা নিউজ : একই পরিবারের দুই ভাই-বোন। উচ্চমাধ্যমিকে ফলপ্রকাশ (2023) হতেই দেখা যায় একজন পঞ্চম আর অন্য জন সপ্তম স্থান অধিকার করে নিয়েছেন। তাতেই খুশির জোয়ার গোটা পরিবারে। প্রসঙ্গত, এবারে উচ্চমাধ্যমিকের মেধা তালিকায় এক থেকে দশের মধ্যে রয়েছেন ৮৭ জন। তার মধ্যে শুধুমাত্র হুগলি থেকে রয়েছেন ১৮ জন। তাতেই রয়েছেন কৌস্তভ কুন্ডু। হয়েছেন পঞ্চম। তার প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৩। তালিকায় সপ্তম স্থানে রয়েছেন কৌশিকী কুন্ডু। তার প্রাপ্ত নম্বর ৪৯০। সম্পর্কে তারা তুতো ভাই বোন। কৌস্তভের কাকার মেয়ে কৌশিকি। কৌস্তভ আর কৌশিকি দুজনেই বড় হয়ে ইঞ্জিনিয়ার হতে চায় বলে জানাচ্ছে।
এমনকী উচ্চমাধ্যমিকের পড়াশোনাও করেছেন একইসঙ্গে। ছোটথেকেই পড়াশোনার জন্য সর্বদাই একে অপরের পাশে থেকেছেন। কৌস্তভের বাবা সন্দীপ কুন্ডু পেশায় ব্যবসায়ী। আর কৌশিকীর বাবা কৃষ্ণেন্দু কুন্ডু প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক। কৌশিকীর মা কেকা কুন্ডু ও কৌস্তভের মা কৃত্তিকা দুজনেই গৃহবধূ। চোখ ধাঁধানো এই সাফল্যের পিছনে দুজনই তাদের স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা ও মা-বাবাদের অবদানের কথা বলছেন। পড়াশোনার পাশাপাশি টিভি দেখা,গান শোনা ও গল্পের বই পড়তেও ভালোবাসেন এই দুই ভাইবোন।
পড়াশোনা আরামবাগ শহর ছাড়িয়ে প্রত্যন্ত গ্রামের স্কুল কাপসিট হাইস্কুলে। স্কুলের দুই পড়ুয়ার এই সাফল্য খুশির জোয়ার শিক্ষকদের মনেও। তবে এই স্কুলের পরিকাঠামোর অবস্থা বিশেষ ভাল নয়। নেই শহরের স্কুলের মতো ঝাঁ চকচকে প্রযুক্তি নির্ভর ক্লাসরুম। স্কুলের সামগ্রিক পরিকাঠামোর অবস্থা যে ভাল নয় সে কথা বলছেন স্কুলের শিক্ষকরাই। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুরালি মোহন ঘোষ শিক্ষকের অভাবের কথা অকপটে স্বীকারও করে নিলেন। তিনিই জানাচ্ছেন সম্প্রতি উৎসশ্রী প্রকল্পে স্কুলের অনেক শিক্ষকই অন্য স্কুলেও বদলি হয়ে গিয়েছেন। শিক্ষকের ঘাটতি থাকলেও নবম-দশমের শিক্ষকরাই উচ্চমাধ্যমিকের ক্লাস নিতেন। এই স্কুলের পড়ুয়া কৌস্তভ-কৌশিকীর অভাবনীয় সাফল্যে খুশি প্রধান শিক্ষকও।