একমাসে পরপর চারবার, ফের ওড়িশায় উদ্ধার হল অর্ধদগ্ধ নাবালিকার দেহ

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : আবার খবরের শিরোনামে উঠে এলো ওড়িশা ! ফের ঘটলো গায়ে আগুন দেওয়ার মতো ঘটনা ৷ অগ্নিদগ্ধ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি এক বছর তেরোর নাবালিকা ৷ বালেশ্বর, পুরী, ওড়িশার কেন্দ্রাপাড়া জেলার পর এবার ঘটনাস্থল বরগড় ৷ গত একমাসের মধ্যে চারবার এমন গায়ে আগুন দেওয়ার ঘটল বাংলার প্রতিবেশী রাজ্যে ৷ সোমবার পুলিশ জানিয়েছে, বরগড় জেলার গাইসিলাত থানার সীমানার মধ্যে ফিরিঙ্গমাল গ্রামের একটি ফুটবল মাঠে অর্ধদগ্ধ অবস্থায় পড়েছিল ওই নাবালিকা ৷

পুলিশ সূত্রে খবর, গ্রামবাসীরা ওই নাবালিকাকে উদ্ধার করে সম্বলপুরের বুরলা হাসপাতালে নিয়ে যান ৷ বর্তমানে মেয়েটির অবস্থা আশঙ্কাজনক ৷ শরীরের বেশিরভাগ অংশ পুড়ে গিয়েছে । তবে কেন মেয়েটি নিজের জীবন শেষ করতে চেয়েছে তার কারণ এখনও জানা যায়নি। অষ্টম শ্রেণির ওই ছাত্রী গায়ে পেট্রল ঢেলে নিজের গায়ে আগুন ধরিয়েছে, বলে পুলিশ জানিয়েছে। গত ১২ জুলাই থেকে এখনও পর্যন্ত তিনটে এমন ঘটনা ঘটেছে ৷ তার প্রত্যেকটিতেই মেয়েগুলির মৃত্যু হয়েছে ৷

পরিবারের সদস্যদের মতে, ওই ছাত্রী তার মামারবাড়িতে থাকত। সেখানেই পড়াশোনা করত ৷ সোমবার সকালে তার মামার বাড়ির কাছে ফুটবল খেলার মাঠ থেকে নাবালিকাকে অর্ধদগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পুলিশি সহায়তায় অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে । বরগড়ের উপ জেলা কালেক্টর প্রসন্ন কুমার পান্ডে জানিয়েছেন, প্রথমে খবর আসে, নির্যাতিতাকে বরগড় জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ৷ কিন্তু পরে জানা যায়, তাকে সম্বলপুরের বুরলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ।

উল্লেখ্য, প্রথমে ওড়িশার বালেশ্বরে কলেজের এক বিভাগীয় প্রধানের বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ তুলে ক্যাম্পাসেই নিজের গায়ে আগুন ধরিয়ে দেন এক ছাত্রী । 95 শতাংশ দগ্ধ অবস্থায় ভুবনেশ্বর এইমসে তাঁর মৃত্যু হয় । তারপর পুরীতে এক কিশোরীও অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যায়। অভিযোগ ওঠে, এক দল দুষ্কৃতী তাঁর গায়ে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিল। দিল্লি এইমসে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই কিশোরীর মৃত্যু হয়। তারপর কেন্দ্রাপাড়ায় বাড়িতেই অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় এক তরুণীর। ঘটনার সময় কলেজছাত্রী বাড়িতে একাই ছিলেন। পরিবারের অভিযোগ, তরুণীর উপর মানসিক নির্যাতন চালাতেন তাঁর প্রেমিক ৷ তারপরই এমন ঘটনা ঘটে ৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *