এক চরম ভয়াবহ দুর্ঘটনা! ৪ বছরের শিশু বাঁচল বাইক থেকে ছিটকে পরে , মৃত মা আহত হল বাবা
বেস্ট কলকাতা নিউজ : রাখে হরি মারে কে? কোন শক্তির জোরে যাদবপুর দুর্ঘটনায় অক্ষত ৪ বছরের অঙ্কিতা? বিচিত্র এক তথ্য উঠে এল পুলিস সূত্রে। দুর্ঘটনায় ছিটকে পড়ে বাইক। মর্মান্তিক ভাবে দেবশ্রীর মাথায় উঠে যায় ঘাতক বাসের চাকা। এরপর গুঁড়িয়ে যায় তাপস বাবুর হাত। বাইক থেকে ছিটকে পড়ে অঙ্কিতা। কিন্তু রাস্তায় চায়ের দোকানে বসে থাকা এক ব্যক্তির ওপর পড়ে অঙ্কিতা। ওই ব্যক্তি পেশায় অটো চালক। সেই সময় স্ট্যান্ডে অটো রেখে রাস্তার পাশের টি স্টলে চা খাচ্ছিলেন। তিনি কার্যত ছিটকে পড়া অঙ্কিতা কে লুফে নেন তাই আঁচড় লাগেনি অঙ্কিতার গায়ে।
মঙ্গলবার সকালে, ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনা ঘটে যাদবপুরে। জানা গিয়েছে, সরকারি এস ৩১ বাসের ধাক্কা বাইকে। ৮ বি স্ট্যান্ড থেকে বেরিয়েই হঠাৎ গতি বাড়ায় বাস। বাইকে সন্তোষপুর থেকে ঢাকুরিয়া আসছিলেন বাবা মা এবং ৪ বছরের শিশু কন্যা। বাবার নাম তাপস মন্ডল। মায়ের নাম দেবশ্রী নস্কর মন্ডল। মেয়ের নাম অঙ্কিতা মন্ডল। ঢাকুরিয়া বিনোদিনী গার্লস এর ছাত্রী অঙ্কিতা। সন্তোষপুর থেকে বাইকে মেয়েকে স্কুলে ছাড়তে যাচ্ছিলেন। স্ট্যান্ড থেকে বেরোয় এস ৩১। ধাক্কা মারে দ্রুতবেগে। ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন দেবশ্রী। বাঘাযতীন হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। বাবা গুরুতর আহত অবস্থায় অরবিন্দ সেবা কেন্দ্র হাসপাতালে ভর্তি।
চালক গ্রেফতার। জানিয়েছেন পরিবহন মন্ত্রী। চালকের লাইসেন্স রদ করা হচ্ছে। চালক স্থায়ী কর্মী নন। তিনি চুক্তিভিক্তিক কর্মী। ঘাতক বাসের চালককে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত। শুধু বেসরকারি নয় সরকারি বাসের বিরুদ্ধে বেপরোয়া বাস চালানোর সমস্ত অভিযোগ কে একইরকম গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে। সরকারি ও বেসরকারি চালক আলাদা নন একই আইন সবার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।