এখন অতীত হাসিনা জামানা , নতুন বাংলাদেশ সরকার চাইল তিস্তার জলের ‘ন্যায্য ভাগ ’
বেস্ট কলকাতা নিউজ : মাসখানেক আগেই ভারতে এসেছিলেন বাংলাদেশের সেই সময়ের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। চতুর্থবার প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে বসে, সেটাই ছিল তাঁর প্রথম দ্বিপাক্ষিক সফর। সফরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠকে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি করেছিলেন হাসিনা। সদর্থক আলোচনা হয়েছিল তিস্তা নদীর জল বন্টন নিয়েও। মনে করা হয়েছিল, দীর্ঘদিনের এই বিবাদ এবার মিটবে। কিন্তু, এর মধ্যে বাংলাদেশে ঘটে গিয়েছে রাজনৈতিক পালাবদল। প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে ভারতে চলে এসেছেন শেখ হাসিনা। সেনার তত্বাবধানে গঠিত হয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। শুরুতেই ভারতের উপর তিস্তার জলবন্টন চুক্তি নিয়ে চাপ বাড়াল তারা। তাদের স্পষ্ট দাবি, ‘তিস্তার জলের ন্যায্য হিস্যা চাই’।
এদিন, চিন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, ব্রিটেন-সহ বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন বাংলাদেশের বিদেশ উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন। বৈঠক হয় ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয়ভার্মার সঙ্গেও। বৈঠকের পর সাংবাদিক বৈঠকে তৌহিদ জানান, ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মার সঙ্গে বৈঠকে তিস্তার জলের ন্যায্য হিস্যা চাওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, “জল কম আছে আমি জানি। এমনকি এক দেশের জন্য যা প্রয়োজন আছে, সেটুকুও নেই। কিন্তু আছে তো। একশো কিউসেক জলও যদি থাকে, তার মধ্যে ৩০ কিউসেক আপনারা আমাদের দিতে পারেন না? এভাবে তাদের (ভারতীয় পক্ষকে) আমরা বলেছি।”
এই বিবাদ দীর্ঘদিনের। ১৯৮৩-তেই বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে মন্ত্রী পর্যায়ের এক বৈঠকে ঠিক হয়েছিল, তিস্তা নদীর জলের শতকরা ৩৬ শতাংশ পাবে বাংলাদেশ এবং ৩৯ শতাংশ পাবে ভারত। বাকী ২৫ শতাংশ জল নদীতে সংরক্ষিত রাখা হবে। কিন্তু কী ভাবে এই জল ভাগাভাগি হবে সে বিষয়ে কোন স্পষ্ট দিকনির্দেশ ছিল না। এরপর, ২০০৭-এ বাংলাদেশ প্রস্তাব দেয়, তিস্তার জলের ৮০ শতাংশ দু’দেশের মধ্যে সমানভাবে ভাগ করে, অবশিষ্ট ২০ শতাংশ নদীর জন্য সংরক্ষিত রাখা হোকষ ভারত সেই প্রস্তাব মানেনি। ২০১১-তে প্রস্তাব দেওয়া হয়, ডিসেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত ভারত ৪২.৫ শতাংশ এবং বাংলাদেশ ৩৭.৫ শতাংশ জল পাবে। বিরোধিতাকরেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছলেন, এতে উত্তরবঙ্গের জনগণের মারাত্মক ক্ষতি হবে।
সাম্প্রতিক ভারত সফরের পর, হাসিনা জানিয়েছিলেন, তিস্তা নদী সংরক্ষণ প্রকল্পের কাজে, ভারত থেকে প্রযুক্তিবিদদের একটি দল বাংলাদেশে গিয়ে সমীক্ষা চালাবে। ভারতের বিদেশ সচিব বিনয় কোয়াত্রাও জানান, আলোচনায় তিস্তার জল বণ্টনের থেকে জল প্রবাহ ব্যবস্থাপনার উপর বেশি জোর দেওয়া হয়েছিল। তিস্তা নদীর জল সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনা নিয়ে আলোচনা করতে প্রযুক্তিবিদদের একটি দল শিগগিরই বাংলাদেশ সফরে যাবে। তাদের সমীক্ষা রিপোর্ট অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ভারতের পর চিনে গিয়েছিলেন হাসিনা। সেখান থেকে ফিরে জানিয়েছিলেন, চিন তিস্তা প্রকল্প করার জন্য মুখিয়ে রয়েছে। কিন্তু তিনি চান, ভারতই এটা করুক।সাম্প্রতিক ভারত সফরের পর, হাসিনা জানিয়েছিলেন, তিস্তা নদী সংরক্ষণ প্রকল্পের কাজে, ভারত থেকে প্রযুক্তিবিদদের একটি দল বাংলাদেশে গিয়ে সমীক্ষা চালাবে। ভারতের বিদেশ সচিব বিনয় কোয়াত্রাও জানান, আলোচনায় তিস্তার জল বণ্টনের থেকে জল প্রবাহ ব্যবস্থাপনার উপর বেশি জোর দেওয়া হয়েছিল। তিস্তা নদীর জল সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনা নিয়ে আলোচনা করতে প্রযুক্তিবিদদের একটি দল শিগগিরই বাংলাদেশ সফরে যাবে। তাদের সমীক্ষা রিপোর্ট অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ভারতের পর চিনে গিয়েছিলেন হাসিনা। সেখান থেকে ফিরে জানিয়েছিলেন, চিন তিস্তা প্রকল্প করার জন্য মুখিয়ে রয়েছে। কিন্তু তিনি চান, ভারতই এটা করুক।