এবার টালা প্রত্যয়ও ফেরালো রাজ্যপালের ‘দুর্গারত্ন’ পুরস্কার
বেস্ট কলকাতা নিউজ : দশমীতে পুরস্কার ঘোষণা। একাদশীতেই পর পর প্রত্যাখ্যান। রাজ্যপালের ‘দুর্গারত্ন’ পুরস্কার প্রত্যাখ্যানের তালিকায় এবার যুক্ত হল টালা প্রত্যয়। নদিয়ার কল্যাণীর আইটিআই মোড়ের (লুমিনাস ক্লাব) পুজো উদ্যোক্তারা এদিনই জানিয়েছেন, রাজভবনের পুরস্কার তাঁরা সবিনয়ে প্রত্যাখ্যান করছেন। এরপরই জানা গেল, দুর্গারত্ন নেবে না টালা প্রত্যয়ও।
উত্তর কলকাতার অন্যতম সেরা পুজো কমিটির মধ্যে রয়েছে টালা প্রত্যয়ের নাম। তাদের এবারের পুজোর থিম ‘কহন’ মণ্ডপ জুড়ে আলো-আঁধারির খেলা খেলেছে। এই প্য়ান্ডেল দেখে বেরোনোর পর অপূর্ব মোহের অঞ্জন লেগেছে দর্শনার্থীদের চোখে। এবার বহু পুরস্কারে ঝুলি ভরেছে এই পুজো কমিটির। রাজভবনের তরফে এবার যে চারটি পুজো কমিটিকে পুরস্কৃত করা হচ্ছে, সেখানেও টালা প্রত্যয়ের নাম আছে। এবং একেবারে প্রথমেই নাম তাদের। এরপরই দ্বিতীয় স্থানে ছিল কল্যাণীর আইটিআই মোড়ের লুমিনাস ক্লাবের পুজোর নাম। তারাও ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে, এ পুরস্কার তারা নিচ্ছে না। এছাড়াও উত্তর ২৪ পরগনার বরাহনগরের ‘বন্ধুদল স্পোর্টিং ক্লাব’ ও বরাহনগরের ‘নেতাজি কলোনি লো ল্যান্ড’ মনোনীত এই পুরস্কারের জন্য।
এ প্রসঙ্গে টালা প্রত্যয় সোসাইটির সম্পাদক শান্তনু ঘোষ বলেন, “কলকাতায় যারা দুর্গাপুজো করে তাদের যত প্রতিযোগিতা হয়, তাতে আবেদন পদ্ধতি থাকে, জাজেস প্যানেল আসা, দেখানো সবটা থাকে। তারপর তো হার জিৎ। এই লড়াইয়ে কিন্তু একটা ভ্রাতৃত্ববোধও কাজ করে। একটা বন্ডিংও কাজ করে কলকাতার সমস্ত দুর্গাপুজোর। সেখানে আমরা তো এটায় কোনওভাবেই অ্যাপ্লাই করিনি। তারা কীভাবে এটার বিচার করলেন জানি না। কলকাতায় শুনলাম একমাত্র আমরাই পেয়েছি। সেটা আমার মনে হচ্ছে কলকাতার সমস্ত দুর্গাপুজোর যে বন্ডিং সেটা বোধহয় কোনও একটা জায়গায় ধাক্কা খাচ্ছে। কোনও বিচারক, প্রসেস ছাড়া এটা চলছে। আমরা তাই বিরত থাকছি। তবে পরের বছর যদি ওনারা সুন্দর নিয়ম অনুযায়ী সবটা করেন, বিচারক আসেন সবটা দেখেন, তারপর দেখা যাবে।”