এবার থেকে কমবে ‘বিদ্যুতের দাম, শালবনীতে পাওয়ার প্ল্য়ান্টের শিলান্যাস করে এমনটাই বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
বেস্ট কলকাতা নিউজ : অবশেষে দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান। শালবনীতে জিন্দল গোষ্ঠীর তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের শিলান্যাস করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তিনি জানান, এই তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ফলে স্থানীয় লোকজন চাকরি পাবেন। রাজ্যে বিদ্যুতের ঘাটতিও মিটবে। দামও কমে যাবে এমনকি বিদ্যুতের ও। পূর্ব ঘোষণা মতো এদিন সজ্জন জিন্দলের উপস্থিতিতে পাওয়ার প্ল্যান্টের শিলান্যাস করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অনুষ্ঠানে ছিলেন ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ও। শালবনিতে ৮০০ মেগাওয়াট করে দু’টি পাওয়ার প্ল্যান্ট নির্মিত হবে। এই প্রকল্পে জিন্দল গোষ্ঠী প্রায় ১৬ হাজার কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগ করেছে। একইসঙ্গে এই সংস্থা একাধিক ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক তৈরির পরিকল্পনাও নিয়েছে। এদিন পাওয়ার প্ল্যান্ট নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এই পাওয়ার প্ল্যান্ট বাংলার জন্য একটা ল্যান্ডমার্ক। এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরি হওয়ার ফলে ২৩টি জেলার মানুষ বিদ্যুৎ পাবেন। উপকৃত হবেন রাজ্য বাসিও। পূর্ব ভারতে এর আগে এই ধরনের প্রকল্প আগে কখনো হয়নি। বিদ্যুৎ কেন্দ্র গড়ে ওঠার পর ১৫ হাজার মানুষের কাজ হবে এখানে। বিদ্যুতের দামও ক্রমশ কমবে।’

কীভাবে এই তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র কাজ করবে? মুখ্যমন্ত্রী জানান, ‘এই প্রজেক্টে রাজ্য জিন্দলদের থেকে বিদ্যুৎ কিনবে। আরও ২ টো পাওয়ার ইউনিট তৈরি করবে। বাংলায় অনেক বিদ্যুতের দরকার। ২০১১ সালে ২ হাজার মেগাওয়াট ছিল। এখন ১০ হাজার মেগাওয়াট লাগে। আমাদের লক্ষ্য ১৮ হাজার মেগাওয়াট। নতুন ৫ টি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র গড়ার পরিকল্পনা নিয়েছে রাজ্য সরকার।’ আরও পরিসংখ্যান দেখিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, ৭৬০০০ কোটি টাকা খরচ করে তিনি রাজ্যে বিদ্যুতের ঘাটতি মিটিয়েছেন। প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ কিলোমিটার নতুন লাইন করা হয়েছে। ৭৫০-এর বেশি সাব স্টেশন গড়ে তোলা হয়েছে। ১ কোটি ৭ লক্ষ কনজিউমার ছিলেন ২০১১ সালে। এখন তা বেড়ে হয়েছে ২ কোটি ৩০ লক্ষ। মুখ্যমন্ত্রী জানান, রাজ্যে আরও ৫ তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র গড়ে উঠবে। সেখানে স্থানীয় ছেলে-মেয়েরা কাজ পাবেন। তাঁদের প্রশিক্ষণও দেওয়া হবে।