কলকাতার মতো শিলিগুড়ি থেকেও এবার শুরু হবে জলের নিচ দিয়ে ট্রেন চলাচল
শিলিগুড়ি : আর বেশি দেরি নেই, হাওড়ার মতো শিলিগুড়িতেও শুরু হয়ে যাবে জলের নিচ দিয়ে ট্রেন চলা। যার মুখ্য আকর্ষণ থাকবে নিউ জলপাইগুড়ি রেল স্টেশন, এখান থেকেই শুরু হবে প্রথম ট্রেন চলা। ৫০ বছর ধরে নিউ জলপাইগুড়ি রেলওয়ে স্টেশন, উত্তরবঙ্গ রেল স্টেশন গুলির মধ্য মুখ্য আকর্ষণ। এখানে একদিকে যেমন কলকাতা এবং অন্যদিকে আসাম দুদিকেই স্বাচ্ছন্দে যাতায়াত করতে পারেন যাত্রীরা। এর উপরে সব থেকে বড় কথা এনজিপি থেকে তিন তিনটি লাইনের ট্রেন চলতে দেখা যায়, বা বলতে পারা যায় তিনটি লাইন আছে। যা একেবারে বিরল। তাই সবকিছু ঠিকঠাক হয়ে গেলে এনজিপিকে মুখ্য স্টেশন করবে ভারতীয় রেল। এর উপরে পর্যটকদের আকর্ষণ করতে বিশেষ ব্যবস্থা নেবে ও রেল, তবে কতদিন লাগবে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে সেটা এখনো জানা না গেলেওযদি শুরু হয়ে যায়, তবে ২০৩০ সালের মধ্য এই পরিকল্পনার বাস্তবায়ন সম্ভব হবে।
এদিকে রেলের তরফ থেকে জানানো হয়েছে , পর্যটকদের আকর্ষিত করতে, মুখ্য উদ্যোগ নিতে পারে এই জলপথে রেল যাতায়াত। তবে হয়তো এতদূর পর্যন্ত যাবে না রেল, আপাতত বেশ কয়েকটি স্টেশন নিয়ে কাজ শুরু হবে। তবে এই কাজ যদি শুরু হয়ে যায়, তবে রেল দপ্তর আশা করছে উত্তরবঙ্গের পর্যটনের ক্ষেত্রে এক বিরাট ভূমিকা নেবে এই জলপথে রেল চলাচল। তবে সেটা কবে সম্ভব হবে সেটা আপাতত সময় বলে দেবে। তবে আগ্রহ দেখাচ্ছে বেশ কয়েকটি বেসরকারি সংস্থাও, পর্যটনের কথা মাথায় রেখে দ্বিগুণ লাভের আশায় তারা এই কাজে হাত দিতে আগ্রহী। তবে সবকিছু ভেবেচিন্তে আগে দেখতে চাই রেল, যদি পরিকল্পনার বাস্তবায়ন অসফল হয় তবে এক মোটা অংকের ক্ষতিপূরণ দিতে হতে পারে রেলকে। তখন অনেক কিছু ধূলিসাৎ হয়ে যেতে পারে। তাই আগে থেকে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়েই কাজ শুরু করতে চাইছে, রেল দপ্তর। এর উপর প্রাকৃতিক দুর্যোগ, বৃষ্টিপাত এবং সবচাইতে বড় হলো ধসের আশঙ্কা, ধসের আশঙ্কা দক্ষিণবঙ্গে নেই। তাই সহজে কাজ শুরু করা যায়, এদিকে উত্তরবঙ্গের ক্ষেত্রে ব্যাপারগুলি অনেক কঠিন হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে সবকিছুই সময়ের উপর ছেড়ে দিয়েছেন তারা। এখন এটাই দেখার জল পথে কি সত্যিই রেল চলাচল করতে শুরু করবে উত্তরবঙ্গে, না সেটা স্বপ্নই থেকে যাবে আমাদের কাছে।