খোদ জাতীয় সড়কই খরস্রোতা নদী, মেঘ ভাঙা বৃষ্টি নামল হিমাচলেও, নিখোঁজ হল কমপক্ষে ৫০ জন

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : কেরল, উত্তরাখণ্ডের পর এবার প্রকৃতির রুদ্র রূপ হিমাচলেও। সেখানেও নামল মেঘ ভাঙা বৃষ্টি। তাও আবার এক জায়গায় নয়, রাজ্যের তিন জায়গা থেকে মেঘ ভাঙা বৃষ্টির খবর মিলেছে। হঠাৎ অতিবৃষ্টি, হড়পা বানে ভেসে গিয়েছে বহু বাড়িঘর। নিখোঁজ কমপক্ষে ২০ থেকে ৩০ জন। মৃত্য়ু হয়েছে ২ জনের। প্রশাসনের তরফে উদ্ধারকাজ শুরু করা হয়েছে।এ দিন সকালেই হিমাচল প্রদেশের সামেজ খাদে হাইড্রো-ইলেকট্রিক পাওয়ার প্রজেক্টের কাছে মেঘ ভাঙা বৃষ্টির খবর মেলে। হিমাচল প্রদেশের মাণ্ডিতেও মেঘ ভাঙা বৃষ্টি নেমেছে। তবে সবথেকে ভয়াবহ আকার নিয়েছে সিমলার কাছে রামপুরে। সেখানে মেঘ ভাঙা বৃষ্টিতে জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছেন কমপক্ষে ২০ জন।

বিপর্যয়ের খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। জেলা পুলিশের শীর্ষ আধিকারিকরাও উদ্ধারকাজে হাত লাগিয়েছেন। এদিকে, মেঘ ভাঙা বৃষ্টিতে রাস্তার সংযোগও বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। বিপর্যয়স্থলে পৌঁছতে বেগ পেতে হচ্ছে উদ্ধারকারী দলকে। পাহাড়ে হাইকিং করে পৌঁছচ্ছেন তারা।মাণ্ডিতে ভূমিধসের জেরে রাজবান গ্রামের কাছে রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। আপাতত স্কুল-কলেজের পড়ুয়াদের বাড়িতে থাকতেই পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। পাধার সাব ডিভিশনের সমস্ত স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।রামপুরে উদ্ধারকাজে নেমেছে এনডিআরএফ, সিআইএসএফ ও হোমগার্ড। উদ্ধারকাজে হাত লাগাচ্ছে আইটিবিপি-ও। রাজ্যজুড়েই ভারী বৃষ্টি হওয়ায়, এসডিআরএফের টিমগুলিকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। একাধিক রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।

এদিকে হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু টুইট করে লিখেছেন, “সিমলার রামপুর তহশিল, মান্ডি জেলার পাধার তহশিল এবং কুলুর নির্মন্দ গ্রাম জাওন গ্রামে মেঘ ভাঙা বৃষ্টিতে ৫০ জনেরও বেশি মানুষের নিখোঁজ হওয়ার খবর মিলেছে। এনডিআরএফ, এসডিআরএফ, পুলিশ, হোম গার্ড এবং ফায়ার সার্ভিস উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *