গঙ্গায় ভেসে যাচ্ছিল ৬ জন নাবালক, স্পিডবোটে উদ্ধার করলো কলকাতা পুলিশের এএসআই
বেস্ট কলকাতা নিউজ : গঙ্গায় ভেসে যাচ্ছিলো চার নাবালক। অবশেষে দেখতে পেয়ে তড়িঘড়ি নদী থেকে ওই চারজনকেই জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করলেন কলকাতা পুলিশের এএসআই মানিক দে । ছেলেগুলির প্রাণরক্ষা করে তাদের পরিবারের কাছে তিনি এখন রীতিমতো রিয়েল হিরোও বটে ৷ প্রশংনীয় ঘটনাটি ঘটেছে শহর কলকাতার মেটিয়াবুরুজ এলাকায়। এই ঘটনার পরই কলকাতা পুলিশের পদস্থ আধিকারিকদের প্রশংসাও কুড়িয়েছেন মানিক দে । কলকাতা পুলিশের ডিসি (বন্দর) হরিকৃষ্ণ পাই বলেন, “খুব সাহসিকতার কাজ করেছেন এএসআই মানিক দে । তিনি কলকাতা রিভার ট্রাফিক পুলিশে কর্মরত ।”

জানা গিয়েছে, ঘটনার দিন দুপুরবেলায় এএসআই মানিক দে’র নেতৃত্বে কলকাতা পুলিশের একটি স্পিডবোট গঙ্গাবক্ষে টহল দিচ্ছিল । সেই সময় মানিক দে দেখতে পান, নেতাজি সুভাষচন্দ্র ডকের কাছে ছয় নাবালক নদীতে বড় থার্মোকল আঁকড়ে জলের তোড়ে ভেসে যাচ্ছে । সঙ্গে সঙ্গে কলকাতা পুলিশের স্পিডবোট সঙ্গে নিয়ে তাদের পিছু নেন তিনি । এরপর অন্যান্য পুলিশকর্মীদের সাহায্যে ওই ছয় নাবালককে উদ্ধার করেন কলকাতা রিভার ট্রাফিক পুলিশের এএসআই ।
পুলিশ সূত্রে খবর, ওই ছয় শিশু মেটিয়াবুরুজ এলাকার একটি ঘাটে স্নান করতে নেমেছিল । আচমকাই তারা নদীর স্রোতে ভারসাম্য রাখতে না পেরে ভেসে যায় । সেসময় ভয়ে তারা চিৎকার শুরু করে । তখনই গোটা বিষয়টি গঙ্গাবক্ষে কর্তব্যরত থাকা অবস্থায় মানিক দে’র চোখে পড়ে । ফলে বেশ কিছুক্ষণের চেষ্টায় পশ্চিম বন্দর থানা এলাকা থেকে ওই নাবালকদের উদ্ধার করা হয় । ওই ছয় শিশু গতকাল মেটিয়াবুরুজ এলাকার একটি ঘাটে স্নান করতে নেমেছিল । আচমকাই তারা নদীর স্রোতে ভারসাম্য রাখতে না পেরে ভেসে যায় । সেসময় ভয়ে তারা চিৎকার শুরু করে । তখনই গোটা বিষয়টি গঙ্গাবক্ষে কর্তব্যরত থাকা অবস্থায় মানিক দে’র চোখে পড়ে । ফলে বেশ কিছুক্ষণের চেষ্টায় পশ্চিম বন্দর থানা এলাকা থেকে ওই নাবালকদের উদ্ধার করা হয় ।
এই বিষয়ে লালবাজারের দাবি, সারাদিন প্রায় বেশ কয়েক ঘণ্টা ধরে গঙ্গাবক্ষে টহল দেয় রিভার ট্রাফিক পুলিশ । সেসময় অনেক মানুষকে তলিয়ে যাওয়া থেকে উদ্ধার করেন কর্তব্যরত আধিকারিকরা । এই কাজের দায়িত্ব থাকে কলকাতা পুলিশের রিভার ট্রাফিক পুলিশের উপর । সেরকম একটি ঘটনা ঘটে এদিন ৷ যেখানে ওই চারজন নাবালকের প্রাণ বাঁচান এসএসআই মানিক দে ৷ এই ঘটনার পর প্রয়োজনে গঙ্গাবক্ষে টহলদারির পরিমাণ আরও বাড়ানো হতে পারে ।