গণপিটুনিতে খুনের মামলায় ১২ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
বেস্ট কলকাতা নিউজ : ছেলে ধরা সন্দেহে পিটিয়ে খুন করার ঘটনায় অভিযুক্তরা সাজা পেলো ২ বছর পর।এক মহিলা সহ ১২ জন কে যাবৎজ্জীবন করা দণ্ডের আদেশ দিলো পূর্ব বর্ধমানের কালনা মহকুমা আদালত।নিহতদের পরিবারের লোকেরা খুশি আদালতের এই রায়।
কখনো চোর আবার কখনো বা ছেলে ধরা। এ রাজ্যে শুধু মাত্র সন্দেহের বশে নিরীহ মানুষ জনের গণপিটুনির ঘটনায় মৃত্যুর ঘটনা দিন কে দিন ক্রমাগত বাড়ছে।ঘটনা সূত্রে জানা গেছে ২০১৭ সালে নদিয়ার রাঘবপুর থেকে বর্ধমানের কালনায় কাজ করতে এসে গণ ধোলাইয়ের স্বীকার হন ৫ জন দিন মজুর। বেধড়ক গণ প্রহারে প্রাণ হারিয়েছিলেন ২ জন।জানা গেছে, ২০১৭ সালের ২ রা জানুয়ারি আমগাছে কীটনাশক ও জল দেওয়ার জন্য কালনা শহরের বারুই পাড়ায় গিয়েছিলেন আক্রান্ত ৫ জন দিন মজুর।স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের সন্দেহ হয় এলাকায় অপরিচিত লোক দেখে।ছেলে ধরা সন্দেহে ওই ৫ জন কে আটকে রাখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পুলিশ আরো জানিয়েছে, স্থানীয় বাসিন্দাদের নিজেদের পরিচয় পত্রও দেখেয়ে ছিলেন ভিন জেলার এই ৫ জন দিন মজুর। এছাড়াও কি কাজ করতে কালনায় এসেছিলেন সে কথাও তারা জানিয়েছিলেন।কিন্তু তাতে কোনো ফল হয়নি।উল্টে তাদেরকে বেধড়ক মারধর করতে শুরু করে কালনের বারুইপাড়ার বাসিন্দাদের একাংশ। শেষ পর্যন্ত পুলিশ এসে আক্রান্তদের উদ্ধার করে কালনা মহকুমা হসপিটালে ভর্তি করে। হসপিটালেই মৃত্যু হয় অনিল বিশ্বাস ও মানিক সরকার নামে ২ জন দিন মজুরের। গুরুতর আহত হন ব্যাঞ্জন বিশ্বাস , মধুমঙ্গল তরফদার ও সমীর দাস। ঘটনার দিন বিকেলেই কালনা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন মৃত অনিল বিশ্বাস এর ছেলে।