চওড়া ফুটপাথ ক্রমশ চলে যাচ্ছে গাড়ি পার্কিংয়ের কবলে, অবশেষে কেটে সরু করার সিদ্ধান্ত কলকাতা কর্পোরেশনের

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : ফুটপাথ তুমি কার ? এই শব্দগুচ্ছের সঙ্গে কমবেশি পরিচিত শহরবাসী ৷ পুলিশ ও প্রশাসন কলকাতার ফুটপাথ দখলমুক্ত করার বারবার প্রয়াস করেও ব্যর্থ ৷ ফুটপাথকে পার্কিংমুক্ত করতে এবার এক নতুন উদ্যোগ নেওয়া হল কলকাতা কর্পোরেশনের তরফ থেকে ৷ মূলত শহর কলকাতার অনেক জায়গায় খুবই সংকীর্ণ ফুটপাথ যেমন রয়েছে, তেমন বহু জায়গা আছে খুবই চওড়া ফুটপাথ। বলা চলে ছোট্ট রাস্তার সমান। আর সেগুলো সিংহভাগ দখল করে রাখা হচ্ছে গাড়ি ৷ ফলে পথচারীদের জন্য তৈরি ফুটপাথকে হকারদের পাশাপাশি ক্রমশ গ্রাস করছে পার্কিং। স্বার্থ ক্ষুণ্ণ হচ্ছে পথচারীদের ৷ সেই অভিযোগ পেয়েই অবশেষে ফুটপাথ কেটে সরু করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলো কলকাতা কর্পোরেশন।

এদিকে আবার সম্প্রতি মেয়র ফিরহাদ হাকিমের কাছেও অভিযোগ জমা পড়ে নাগরিকদের তরফ থেকে ৷ নর্দান অ্যাভিনিউর এক নাগরিক এমনকি এও অভিযোগ করেন, রাস্তা বেশি প্রশস্ত নয়। তবে ফুটপাথ বেশ চওড়া হওয়াতে সেই সুযোগ নিয়ে একের পর এক গাড়ি সেখানেই পার্কিং করে রাখা হয় সব সময়। ফুটপাথ ধরে হাঁটতে না-পেরে বিপদের ঝুঁকি নিয়ে অবশেষে রাস্তাদিয়েই হাঁটতে হয় এলাকার মানুষজনকে।

এই অভিযোগের ভিত্তিতে অবশেষে কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম আধিকারিকদের নির্দেশ দেন, শহর কলকাতায় যেখানে ৫ ফুটের বেশি চওড়া ফুটপাথ আছে, সেই ফুটপাথ কেটে ফেলতে হবে। রাস্তা চওড়া করতে হবে। যেন ফুটপাথে গাড়ি পার্কিং করতে পারবে না। তাহলে ফুটপাথ দিয়ে পথচারীরা হেঁটে যেতে পারবেন নিশ্চিন্তে। এদিকে মেয়রের নির্দেশ মতোই সিদ্ধান্ত হয়েছে শহরজুড়ে সার্ভে করা হবে কোন কোন এলাকায় এমন চওড়া ফুটপাথ আছে । কোথায় গাড়ি রাখা হয়, যার জেরে পথচারীদের সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে ৷ যেখানেই পাঁচ ফুটের বেশি ফুটপাথ রয়েছে, তা কেটে সরু করা হবে।

এই প্রসঙ্গে কলকাতা কর্পোরেশনের এক আধিকারিক জানান, এই অভিযোগ খুবই বাস্তব। বেশকিছু চওড়া ফুটপাখ চিহ্নিত করে সেখানে গ্রিন জোন বানানোর ফলে সেখানে আর কেউ গাড়ি রাখতে পারবে না। কিছু জায়গায় গাড়ি রাখে। আবার কিছু জায়গায় হকারের সমস্যা আছে । আছে ভবঘুরেদের আস্তানাও। ভবঘুরে ও হকার সমস্যা সমাধানে প্রক্রিয়া চলছে ৷ এবার বেআইনি পার্কিং সমস্যা মেটাতে মেয়রের নির্দেশ মতো এই পদক্ষেপ করা হচ্ছে ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *