চরম অবাক করা কান্ড জলপাইগুড়িতে, ফেরিওয়ালার লাইসেন্স দিয়েই অবাধে চলছে বেকারির ব্যবসা
জলপাইগুড়ি : অতীতেও এমন যৌথ অভিযান হয়েছে শহরের নানা জায়গায়। সতর্কবার্তা থেকে আর্থিক জরিমানা জুটেছে প্রস্তুতকারক এবং বিক্রেতাদের কপালে। তারপরেও হুঁশ ফেরা দূরের কথা, বিন্দুমাত্র হেলদোল নেই এই শহরের খাবার প্রস্তুতকারক ও বিক্রেতাদের। একাধিক সরকারি দপ্তরের যৌথ প্রতিনিধিদলের অভিযানে এমনই ছবি ধরা পড়ল জলপাইগুড়ি শহরজুড়ে।

জেলা ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তরের অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর দেবাশিস মণ্ডলের নেতৃত্বে এদিনের অভিযানে পুরসভার এগজিকিউটিভ অফিসার দীপক কর সহ অংশ নেন বিভিন্ন দপ্তরের আধিকারিক ও কর্মীরা। এই ব্যাপারটি নিয়ে এদিন ব্যবসায়ীদের চূড়ান্ত সতর্কবার্তা দেন আধিকারিকরা।এদিকে এদিন অভিযানে শামিল জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ি পুরসভার স্যানিটারি ইনস্পেকটর তথা খাদ্য নিরাপত্তা আধিকারিক অঞ্জন রায় বলেন, ‘কারও ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাক তা আমরাও চাই না। তবে নিয়ম ও নিরাপত্তা না মেনে কাউকে খাবার প্রস্তুত, প্যাকেজ, মজুত বা বিক্রি করতে দেওয়া হবে না। সব তথ্যপ্রমাণ এদিন সংগ্রহ করা হয়েছে। দ্রুত এদের বিরুদ্ধে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে, যার মধ্যে জরিমানা সহ অন্যান্য ব্যবস্থাও থাকছে।
অন্যদিকে এই অভিযানে এদিন ধরা পড়ে কেউ ফেরিওয়ালার ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে খুলে বসেছেন বেকারির ব্যবসা , তো কেউ খুচরো ব্যবসার ট্রেড লাইসেন্সের আড়ালে দেদারে চালিয়ে যাচ্ছেন খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ইউনিট। রেস্তোরাঁয় ব্যবহৃত সসে মিলছে না তারিখ এবং মেয়াদ, রেডিমেড লেভেলে প্রস্তুতকারকের নাম, পরিচয়, তারিখ ছাড়াই ফ্যাক্টরি থেকে বাজারে পৌঁছে যাচ্ছে হরেক রকম লোকাল ব্র্যান্ডের কেক এবং বিস্কুট। সব ঘটনা শুনে এদিন রীতিমতো অবাক হন জলপাইগুড়ি স্থানীয় বাসিন্দারা। তারা জানান এই ঘটনার অবিলম্বে তদন্ত হওয়া উচিত। যাই থাকুক অন্যায় ভাবে কেন চলবে ?