চাকরিহারা ‘অযোগ্য’ শিক্ষকদের গ্রুপ সি ও ডি-তে সুযোগ দেওয়ার ইঙ্গিত দিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী
বেস্ট কলকাতা নিউজ : শিক্ষক দিবসের আগে বড় ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের । নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় চাকরি হারানো প্রাক্তন শিক্ষকদের জন্য ফের শিক্ষক হওয়ার পথ আইনি দিক থেকে বন্ধ থাকলেও, তাঁদের জন্য নতুন সম্ভাবনার ইঙ্গিত দিলেন তিনি । রাজ্যের প্রশাসনিক সূত্র অনুযায়ী ২০১৬ সালের নিয়োগ দুর্নীতির প্রেক্ষাপটে বহু শিক্ষক চাকরি হারিয়েছেন ৷ তাঁদের কথা ভেবে রাজ্য সরকার নয়া পথ বের করার চেষ্টা করছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । বৃহস্পতিবার ধনধান্য প্রেক্ষাগৃহের অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “যাঁদের চাকরি চলে গিয়েছে, যাঁরা অপমানিত হয়েছেন, তাঁরা সরাসরি শিক্ষক হতে পারবেন না ৷ তবে তাঁদের গ্রুপ সি-তে জায়গা দেওয়ার সম্ভাবনা খোলা রাখা যায় কি না, এ বিষয়ে আইনি পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে ।
” মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, “হতাশ হওয়ার কোনও প্রশ্ন নেই । বিষয়টি মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা হবে ।”বর্তমানে ৫৬ হাজার শিক্ষকপদ খালি রয়েছে এবং দু’তিন মাসের মধ্যেই নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করার চেষ্টা শুরু হবে । এরপর গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি-এর নিয়োগ শুরু হবে বলে তিনি জানিয়েছেন । মমতা বলেন, সরকারের লক্ষ্য – নিয়োগ প্রক্রিয়া দ্রুততর করা, যাতে বেকার যুবকদের মধ্যে সৃষ্টি হওয়া ক্ষোভ প্রশমিত হয়।

মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, “অনেক শিক্ষক চাকরি হারিয়েছেন । আপনারা কি মনে করেন এতে আমি খুশি ? একেবারেই না । অযোগ্যরা, যাঁরা আগে চাকরি করতেন, তাঁদের নিয়ে আমরা ইতিমধ্যেই প্রসেস শুরু করেছি । তাঁদের বয়স ও অভিজ্ঞতা বিবেচনা করা হচ্ছে এবং তাঁদের বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হবে । তাঁরা এই সুবিধাটি কাজে লাগাতে পারেন । আমাদের হাত বাঁধা, কারণ বিষয়টি বিচারাধীন । আমরা যা করতে পারি তা হল, তাঁদের একটি সুবিধা দেওয়া যাতে তাঁরা যথাযথ সম্মান এবং মর্যাদার সঙ্গে তাঁদের পদ ফিরে পেতে পারেন ।”
মমতা আরও বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষক থাকা সত্ত্বেও যাঁদের অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছে, সেই বিষয়ে আমি আইনি আলোচনা করছি । আদালতের নির্দেশ অনুসারে তাঁরা শিক্ষক হিসেবে কাজ না করতে পারেন, তবে তাঁরা গ্রুপ সি বা ডি-তে কাজ করতে পারবেন কি না, বা কী করা যেতে পারে তা দেখার জন্য আমরা বিষয়টি আইনিভাবে পরীক্ষা করছি । আমরা শীঘ্রই এই নিয়ে জানাব । আশা হারাবেন না । আমাদের সরকার মানবিক । আমরা রাজনৈতিকভাবে বিষয়গুলি দেখি না, আমরা মানবতার মাধ্যমে এটি দেখি ।”