জলপাইগুড়ির মেয়ে রাজ্যের সেরা হল সমগ্র শিক্ষা মিশন আয়োজিত রাজ্য কলা নৃত্য
প্রতিযোগিতায়
নিজস্ব সংবাদদাতা : সমগ্র শিক্ষা মিশন আয়োজিত রাজ্য কলা উৎসবে নাচে প্রথম হয়ে জাতীয় স্তরের প্রতিযোগিতায় সুযোগ পেল জলপাইগুড়ির রূপমৌলি শিকদার। শহরের হোলি চাইল্ড স্কুলের নবম শ্রেণির ওই ছাত্রী শুক্রবার কলকাতার সল্টলেকে ইস্টার্ন জোনাল কালচারাল সেন্টারে আয়োজিত প্রতিযোগিতায় একক নৃত্যের ইভেন্টে সেরার খেতাব পায়। রূপমৌলির কথায়, ‘জাতীয় স্তরের মঞ্চেও জেলার মান রাখার চেষ্টায় কোনও খামতি রাখতে চাই না।’
অন্যদিকে, একই প্রতিযোগিতায় নাটক বিভাগে অংশ নিয়েছিল অরবিন্দ মাধ্যমিক (উচ্চতর) বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির পাঁচ পড়ুয়া। তাদের অভিনীত ‘অন্য রঙের ফুল’ নাটকটি তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে। তৃতীয় লিঙ্গের মানুষের বাস্তব সমানাধিকারের কথা তুলে ধরা ওই নাটকটির থিম এর আগেই প্রশংসা কুড়িয়েছিল। এবার কলা উৎসবেও সাড়া ফেলে দিল।
রূপমৌলি কলা উৎসবে ভরতনাট্টম নৃত্য পরিবেশন করে। ওই ছাত্রীর বাড়ি জলপাইগুড়ির শান্তিপাড়ায়। বাবা মলয় শিকদার ময়নাগুড়ি সুভাষনগর হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক। মা রূপা শিকদার ওই স্কুলেরই সহশিক্ষিকা। মেয়ের সাফল্যে চোখে জল শিক্ষক দম্পতির। রূপা জানান, ছোট থেকে মেয়ে নাচ খুব ভালোবাসে। কয়েকদিন আগেও উত্তরবঙ্গ শিশু-কিশোর উৎসবে নাচে প্রথম হয়েছিল। এবারে রাজ্য কলা উৎসবে এই পুরস্কার প্রাপ্তি ওকে আরও উদ্বুদ্ধ করবে। সমগ্র শিক্ষা মিশনের জলপাইগুড়ির জেলা শিক্ষা আধিকারিক (ডিইও) সঞ্জীব দাস বলেন, ‘গত তিন বছর ধরে জলপাইগুড়ির ছাত্রছাত্রীরা কলা উৎসবে অনবদ্য পারফরমেন্স উপহার দিচ্ছে। সবক’টি ইভেন্ট মিলিয়ে এখান থেকে এবার ১১ জন পড়ুয়া অংশ নিয়েছিল। প্রত্যেকের প্রতি আমাদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন রইল।’
৮ মিনিটের ‘অন্য রঙের ফুল’ নাটকটিতে অভিনয় করেছে লক্ষ্মী রায়, মুন দে, বিশ্বজিৎ রায়, ইমন দাস এবং বিশ্বরূপ রাজবংশী। শুধু অভিনয়ই নয়, মঞ্চেও ওদের এই প্রথম আত্মপ্রকাশ। নাটকের নির্দেশক এবং জলপাইগুড়ির শিক্ষক সব্যসাচী দত্ত বলেন, ‘ছেলেমেয়েরা নিজেদের সেরাটাই দিয়েছে। ওদের একাগ্রতা ও নিষ্ঠাকে কুর্নিশ জানাই। আমরা খুশি।’