জানে না শহুরে চালচলন, গ্রাম্য টান কথায়, যুবতীর চরম সিদ্ধান্ত রোজ সহকর্মীদের কটাক্ষ শুনে

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : নিজের যোগ্যতায় চাকরি পেয়েছেন। কিন্তু কাজে গিয়ে শান্তি নেই। নিত্যদিন কটাক্ষের শিকার হতে হয় তাঁকে। কখনও চেহারা নিয়ে, কখনও কথা বলার ধরন নিয়ে।, সহকর্মীদের হাসির পাত্র হয়ে উঠেছিলেন বছর সাতাশের যুবতী। শেষমেশ আর সহ্য করতে না পেরে, জীবন শেষ করার চরম সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললেন। অফিস থেকে বাড়ি ফিরেই আত্মহত্যা করলেন ব্যাঙ্কে কর্মরত এক যুবতী।

মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর প্রদেশের গাজিয়াবাদে। ২৭ বছরের ওই যুবতী একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কে কাজ করতেন। নয়ডায় পোস্টিং ছিল তাঁর। কিন্তু সেই অফিসে যেতেই চরম কটাক্ষের শিকার হয় যুবতী। অভিযোগ, বিগত ছয় মাস ধরে তাঁকে নিয়ে সহকর্মীরা ঠাট্টা-মজা করত। তাঁর পোশাক নিয়ে, কথা বলার ধরন নিয়ে কটাক্ষ করা হত। বিভিন্ন নাম ধরেও ডাকা হত। চেহারার গড়ন নিয়েও হাসির পাত্র বানানো হত।

নিত্যদিন এই অপমান সহ্য করতে না পেরেই অবশেষে আত্মহত্যা করেন ওই যুবতী । পুলিশ জানিয়েছে, যুবতীর ঘর থেকে একটি সুইসাইড লেটার উদ্ধার করা হয়েছে। চিঠিতে পাঁচজনের নাম উল্লেখ করেছেন যুবতী। তাদের যেন মৃত্যুদণ্ডের সাজা দেওয়া হয়, এমনটাই দাবি জানিয়ে গিয়েছেন যুবতী।

অন্যদিকে, পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, প্রথমে যুবতী কিছুই জানাননি। কিন্তু একটা সময়ের পর মানসিক অত্যাচার সহ্য করতে না পেরেই পরিবারের সদস্যদের সব কিছু জানান। একাধিকবার ইস্তফা দেওয়ারও চেষ্টা করেছিল ওই যুবতী। কিন্তু প্রতিবারই ব্যাঙ্কের তরফে তাঁর ইস্তফা খারিজ করে দেওয়া হয়। কিন্তু সম্প্রতিই এক মহিলা তাঁর বোনকে আক্রমণ করে। তখন ওই যুবতী চড় মারে। এরপরই ব্যাঙ্কের তরফে তাঁকে টার্মিনেশন লেটার দেওয়া হয়। এই অপমান সহ্য করতে না পেরেই আত্মহত্যা করেন যুবতী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *