জীবনের সাতাশটি বছর সীমান্তে দাড়িয়ে কার্গিল যুদ্ধ সহ রক্ষা করেছেন মাতৃ ভূমিকে,গ্রামে ফিরতেই যেন সেলিব্রিটি,স্টেশনেই সেলফি তোলার হিড়িক, বাজলো এমনকি ব্যান্ড

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

জলপাইগুড়ি : জীবনের সাতাশটি বছর তিনি সীমান্তে দাড়িয়ে কার্গিল যুদ্ধ সহ রক্ষা করেছেন নিজের মাতৃ ভূমিকে, আর গ্রামে ফিরতেই তিনি যেন হয়ে উঠলেন সেলিব্রিটি, স্টেশনেই তাকে নিয়ে সেলফি তোলার হিড়িক, বাজলো এমনকি ব্যান্ড, এমনএক অভাবনীয় দৃশ্য দেখা গেলো জলপাইগুড়ি রোড স্টেশনে, দীর্ঘ সাতশ বছর ছয় মাস আগে দেশের সেবায় গায়ে জলপাই রঙের উর্দি চাপিয়ে ঘর ছেড়েছিলেন সদর ব্লকের পাহাড়পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীন পাতকাটা কলোনী জালাদি পাড়ার যুবক গোবিন্দ দাস, যোগ দিয়েছিলেন দেশের এক নম্বর ফ্রন্ট লাইন ডিফেন্স বি এস এফে,সেই থেকে মাঝে মধ্যে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বাড়ি এলেও ফিরে যেতে হয়েছে দেশের সীমান্ত রক্ষার কাজে। দীর্ঘ সাতশ বছর ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর একজন জওয়ান হিসেবে নিজের দায়িত্ব পালন করছেন, কার্গিল যুদ্ধের সময় কর্তব্যরত ছিলেন জম্মু কাশ্মীরে সেনা বাহিনীর সঙ্গে কাধে কাধ মিলিয়ে লড়াই করে পাকিস্থানি অনুপ্রবেশকারীদের পরাস্ত করেছেন।

এবার যেন ঘরে ফেরার পালা, এদিন দিল্লি থেকে অসমগামী ট্রেনে চড়ে নামেন জলপাইগুড়ি রোড স্টেশনে।তবে এমন ভাবে যে ঘরে ফেরা হবে সেটি বুঝতেই পারেন নি ভারতের এই বীর জওয়ান। স্টেশনে ট্রেন থামতেই বেজে ওঠে গ্রামবাসীদের আনা ব্যান্ড পার্টির মিউজিক। একে একে এগিয়ে আসে নিজের সহধর্মিণী সহ গোটা গ্রামের মানুষ গোলায় পরানো হয় ফুলের মালা, এরই মধ্যে গ্রামের বীর জওয়ানের সঙ্গে সেলফি তোলার হিড়িক পরে যায়, এত আয়োজন দেখে আপ্লুত হয়ে গিয়ে বি এস এফের অবসরপ্রাপ্ত হেড কনস্টেবল গোবিন্দ দাস জানান, এটাই জীবনে সেরা মুহূর্ত। অপরদিকে দীর্ঘ অপেক্ষার পর স্থায়ী ভাবে সুস্থ শরীরে স্বামীর ঘরে ফিরে আসা প্রসঙ্গে সহধর্মিণী বনানী দাম দাস বলেন, আজ থেকে অনেকটাই হালকা হয়ে যাবো এতদিন ওনার অবর্তমানে সংসারের ভেতরে এবং বাইরের সব কিছুই একা করেছি আজ থেকে আবার দুজন মিলেই পরিবারের সমস্ত কাজ কর্ম করবো। বাড়ি ফেরার আনন্দে আত্মীয় পরিজন পাড়া-প্রতিবেশী, টোটোচালক থেকে পথ চলতি মানুষদেরকেও মিষ্টিমুখ করানো হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *