দিনরাত মিলেমিশে এক হয়ে গেল মানুষের প্রতিবাদের কারনে
নিজস্ব সংবাদদাতা : কি রাত বারোটা, কি ভোর পাঁচটা কি সন্ধ্যা সাতটা, মানুষ প্রতিবাদ করেই চলেছে। কোন সময় ছাড়াই। সবকিছু ত্যাগ করে যেন নিজের জন্যই বেরিয়ে পড়া। প্রতিবাদের আগুন নিয়ে। শুধুমাত্র একটাই দাবি দোষী শাস্তি চাই, যতক্ষণ না পর্যন্ত শাস্তি হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত নিভবে না হয়তো মোমবাতি শিখা। শিলিগুড়ি এবং জলপাইগুড়ি দুটি পাশাপাশি শহর আত্মীয়ের মত, এই দুটি শহর অন্যান্য জায়গার মতো প্রতিবাদের ব্যানার নিয়ে নেমে পড়েছে। কি ৮ কি ৮০ সবাই মাঠে, এটা খেলার মাঠ না প্রতিবাদের মাঠে, শিলিগুড়ির হাশমি চক এবং বাঘাযতীন পার্ক সকাল থেকে সন্ধ্যা চলছে প্রতিবাদ নিয়েই । মানুষও স্বতঃস্ফূর্তভাবে প্রতিবাদের আগুনে জ্বলছে।
এদিকে আরজিকর ঘটনার প্রায় এক মাসেরও বেশি সময় হয়ে গেছে , যত দিন যাচ্ছে প্রতিবাদের আগুন যেন বেড়েই চলেছে, যতক্ষণ না পর্যন্ত কি হচ্ছে জানতে না পারছেন মানুষ ততদিন পর্যন্ত চলবে এই প্রতিবাদ। রাত থেকে আবার নতুন করে প্রতিবাদ শুরু করেছেন শিলিগুড়ির জুনিয়র ডাক্তার এবং নার্স, সাথে স্টাফেরাও।। শিলিগুড়িতে গত সাত দিনে একশোর উপরে প্রতিবাদ মিছিল বের হয়েছে, যার মধ্যে বেশিরভাগই ছিল শিক্ষার সাথে জড়িত। গত ৫০ বছরেও এই ধরনের প্রতিবাদ কবে কোথায় বাংলায় হয়েছে, মনে করতে পারছেন না বাংলার মানুষও।