দিল্লী বিস্ফোরন কাণ্ডে উদ্ধার হল আরও বিস্ফোরক! ২ টি গাড়ি ঘিরে জোরালো হচ্ছে রহস্য, পরিত্যক্ত অবস্থায় মিলল আরো ১ একটি গাড়ি

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : শুধু ডক্টর উমর নবি এবং হুন্ডাই আই-২০ গাড়ি নয়। ষড়যন্ত্রের অঙ্গ আরও দু’টি রহস্যময় গাড়ি। একটি লাল রঙের ইকোস্পোর্ট এবং একটি ব্রেজা। ধৃত ডাক্তারদের জেরা করে পুলিশ ও এনআইএ জানতে পেরেছে এই দুই গাড়ির কথা। ব্রেজার মালিক লখনউয়ের বাসিন্দা ডক্টর শাহিদ শাহিন। সেই গাড়ির খোঁজ মিলছে না। আর ইকোস্পোর্ট? পরিত্যক্ত অবস্থায় আরো ১ একটি গাড়ি পাওয়া গিয়েছে হরিয়ানার খান্ডাওয়ালি গ্রামের কাছে এক ফার্মহাউসে। মূলত যার রেজিস্টেশন ডঃ উমর নবির নামেই। নম্বর দিল্লির।

কিন্তু এসব ছাপিয়ে মোক্ষম প্রশ্নটা হল, আরও বিস্ফোরক কোথাও গোপনে মজুত করা নেই তো? উমর নবি পুলওয়ামার কোলি এলাকার বাসিন্দা। কর্মস্থল, ফরিদাবাদের আল-ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়। তার অর্থ, দিল্লির ঠিকানা ছিল তার। তা ব্যবহার করেই দিল্লিতে গাড়ির রেজিস্ট্রেশন করানো হয়েছিল। সিলমপুরের ওই ঠিকানায় হানা দিয়ে পুলিশ স্থানীয় দুই বাসিন্দার মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করেছে। যে বিল্ডিং এর ঠিকানা দেওয়া হয়েছিল, সেখানে উমর কবে থেকেছে, তার অবশ্য হদিশ পাওয়া যায়নি।

পুলিশ যে ঘটনা পরম্পরাকে জুড়তে পেরেছে, সেটি হল—১) সোমবার সকালে দুই ডাক্তারের গ্রেপ্তারি এবং ২৯০০ কেজি বিস্ফোরক উপকরণ পাকড়াও হওয়ার খবর পেয়েই আল-ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘জয়েশ-ই-ডক্টরস’ আতঙ্কিত ও সতর্ক হয়ে যায়। ২) সম্ভবত এই চক্রের ভাণ্ডারে আরও বিস্ফোরক ও অস্ত্র মজুত ছিল অন্য কোথাও। আর সেগুলি দ্রুত সরিয়ে ফেলার তাগিদেই তিনটি গাড়ি তিনদিকে চলে যায়। ৩) আই-২০তে বিস্ফোরক ছিল। তাতেই লালকেল্লার কাছে বিস্ফোরণ ঘটে। কিন্তু প্রশ্ন হল, বাকি দুই গাড়িতেও কি বিস্ফোরক ছিল? তবে পরিত্যক্ত অবস্থায় পাওয়া গাড়িতে কোনও বিস্ফোরক পাওয়া যায়নি। সেটি থেকে বিস্ফোরক অন্য কোথাও সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে কি না, আপাতত সেটাই খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *