দু’দেশের ভাষাপ্রেমীরা শ্রদ্ধা জানালেন রফিক-সালাম-বরকতদের, পেট্রাপোলে আন্তর্জাতিক ভাষা দিবস পালিত হল ‘নো ম্যানস ল্যান্ডে’
বেস্ট কলকাতা নিউজ : সীমান্তের জিরো পয়েন্টে আন্তর্জাতিক ভাষা দিবস পালিত হল ভারত-বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে । উত্তর ২৪ পরগনার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত পেট্রাপোলে সীমান্তের ‘নো ম্যানস ল্যান্ডে’ প্রতিবছরই সরকারিভাবে এই দিনটি পালিত হয় দু’দেশের উদ্যোগে৷ দু’দেশের ভাষাপ্রেমীরা সীমান্তে মেতে ওঠেন। দিনভর সীমান্তে আয়োজিত হয় নানান অনুষ্ঠান। তবে প্রশাসনের নির্দেশে দু’ দেশের মানুষ এবারে মিলিত হতে পারলেন না করোনা অতিমারীর কারণে৷ এদিন পৃথক পৃথক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় সীমান্তের এপারে ও বাংলাদেশে৷ তবে দুই দেশের অতিথিরা সীমান্তের জিরো পয়েন্টে ভাষা শহিদ বেদীতে মাল্যদান করেন নিয়ম মেনেই । এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের সাংসদ আফিল উদ্দিন, শার্শা উপজেলার আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সালে আহমেদ মিন্টু, মির আফিল রোজা, ভারতের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস, ছয়ঘড়িয়া পঞ্চায়েতের প্রধান প্রসেনজিৎ ঘোষ-সহ অন্যান্যরা।
ভাষা দিবস নিয়ে বাংলাদেশের সাংসদ আফিল উদ্দিন বলেন, ‘বিশ্বে একটিমাত্র ভাষার জন্য আন্দোলন হয়েছে, রক্ত ঝরেছে। সেই ভাষা বাংলা ভাষা৷ সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া হয়েছে, তবে বাংলা ভাষা ভাগ হয়নি। বাংলা ভাষা নিয়ে দু’পারের মানুষের আবেগ তার প্রমাণ।’ এদিকে বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস বলেন, ‘প্রতিবছর এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে বাংলাদেশ সরকারের সহযোগিতায়। করোনার কারণে দু’ দেশের মানুষ মিলিত হতে না পারলেও ওপারের মানুষেরা আমাদের আত্মীয়৷’ বাংলাদেশের আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সালে আহমেদ মিন্টু বলেন, ‘কোভিডবিধি চালু থাকায় মিলিত হতে পারলাম না ভারতের বন্ধুদের সাথে। সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা কোভিড দূর হোক। ফের আমরা মিলিত হব৷’
এদিন বেশ কয়েকজন যুবক সাইকেল Rally করে পেট্রাপোল সীমান্তে এসে হাজির হন ভাষা দিবস উপলক্ষে। তাঁদের ইচ্ছা ছিল সীমান্ত পার হয়ে বাংলাদেশের মাটি স্পর্শ করার। কিন্তু নিরাপত্তার কারণে সেই ইচ্ছা পূরণ না হওয়ায় আক্ষেপের সুরে প্রকাশ মণ্ডল নাম এক যুবক বলেন, ‘ওপারের বন্ধুদের সাথে দেখা করার ইচ্ছা ছিল। পূরণ হল না! পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আবার আমরা আসব।’ এভাবেই সীমান্তের কাঁটাতারকে সাক্ষী রেখে দু’দেশের ভাষাপ্রেমীরা শ্রদ্ধা জানালেন ভাষা আন্দোলনের শহিদ রফিক, সালাম, বরকতদের৷