দেখালেন শরীরের কাটা দাগ, কীসের এত ঘনিষ্ঠতা জয়ন্ত সিং-এর সঙ্গে, কে এই ‘রহস্যময়ী’ প্রমিতা?

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : কামারহাটি এলাকার ‘কুখ্যাত’ জয়ন্ত সিং গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে তাঁর একের পর এক কীর্তি সামনে আসছে। শুধু মুখে মুখে অভিযোগ শোনা যাচ্ছে তাই নয়, রীতিমতো ভিডিয়ো ভাইরাল হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। কীভাবে অকথ্য অত্যাচার চালানো হয়েছে, সেই অভিযোগ সামনে আসছেন অনেক বাসিন্দাই। ক্যামেরায় মুখ দেখাতে চাইছেন না তাঁরা। এরই মধ্যে আরও একটি ফুটেজে দেখা গেল এক ‘রহস্যময়ী’কে। রাতের অন্ধকারে গৃহস্থের বাড়িতে ঢিল ছোড়ার সময় হাজির এক মহিলাও! এলাকায় কান পাতলে ওই মহিলা সম্পর্কে নানা কথা শোনা যায়, তবে প্রমিতা নিজে কী বললেন? জয়ন্তের সঙ্গে তাঁর কেমন সম্পর্ক ।

সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে একটি ভিডিয়ো, যেখানে দেখা যাচ্ছে, রাতের অন্ধকারে একটি বাড়ি লক্ষ্য করে ঢিল ছুড়ছে জয়ন্ত সিং-এর দলের লোকজন। তাঁর তাণ্ডবে আতঙ্কিত ওই আড়িয়াদহের ওই দম্পতি। অভিযোগ, একদিন রাত তিনটে নাগাদ হঠাৎ তাঁদের বাড়ি লক্ষ্য করে ইট বৃষ্টি করে জয়ন্তের বাহিনী। দম্পতির দাবি, তাঁদের ছেলে প্রোমোটারি করেন, আর প্রোমোটারির টাকার ভাগ না দেওয়ায় জয়ন্ত বাহিনীর এই তাণ্ডব! ক্যামেরার দিকে পিছন ফিরে ওই দম্পতি জানিয়েছে, তাঁদের ছেলেকে ওই গ্যাং-এর হাতে একাধিকবার মারও খেতে হয়েছে। আর ওই মহিলা সম্পর্কে প্রশ্ন করতেই প্রৌঢ়া বলেন, ‘ও তো জয়ন্তের সঙ্গেই থাকে।’

প্রমিতাকে প্রশ্ন করা হলে ঘটনার কথা স্বীকার করেন তিনি। তাঁর দাবি, যার বাড়িতে ঢিল মারা হয়েছে, তারা উত্যক্ত করত। তাঁর দাবি, ওই বাড়ির ছেলে রাস্তায় তাঁকে টানাটানি করতেন। থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন বলেও দাবি করেন ওই মহিলা। ক্যামেরার সামনে কপালে কাটা দাগ দেখিয়ে তিনি বলেন, ‘এই দেখুন কপালে কাটা দাগ। এক বছর আগে আমাকে মেরেছিল। এখনও সেই আঘাতের চিহ্নগুলো আছে।’

তাই বলে বাড়িতে ঢিল মারতে চলে গেলেন? এর কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি ওই মহিলা। আর জয়ন্ত সিং-কে কীভাবে চেনেন? প্রমিতার উত্তর, ‘দাদা হিসেবে’। এলাকার বাসিন্দারা যখন জয়ন্তের কুকীর্তি সামনে আনছেন, তখন প্রমিতার দাবি, জয়ন্ত অনেকের উপকার করেছেন। তিনি বলেন, “জয়ন্তের নেগেটিভ বিষয় দেখানো হচ্ছে। কিন্তু ও অনেকের উপকারও করেছে। অসামাজিক কাজকর্ম সম্পর্কে কিছু জানতাম না। আমার সঙ্গে এখন কোনও ব্যক্তিগত সম্পর্ক নই।” রাতের অন্ধকারে ওই ঢিল ছোড়ার ঘটনায় আত্মসমর্পণ করেন প্রমিতা। তবে ওইদিনের ঘটনার জন্য তাঁর কোনও অনুতাপ নেই। তিনি বলছেন, ‘কেন অনুতপ্ত হব? ওরা তো অনেকের উপকারও করে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *