দ্বিচারিতার অভিযোগ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের বিরুদ্ধে , মামলা দায়ের কলকাতা হাইকোর্টে
বেস্ট কলকাতা নিউজ : দ্বিচারিতা করছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ, এই অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করা হল কলকাতা হাইকোর্টে। মামলার বয়ান অনুযায়ী ৩১ মার্চ ২০ ১৯ এ সমস্ত কর্মরত শিক্ষককে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হতে হবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয় ২০১৭ সালের শিক্ষার অধিকার আইন অনুযায়ী৷ সেই মত প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে এনআইওএস থেকে কর্মরত শিক্ষকরাও৷ এনআইওএসের তরফে ইতিমধ্যেই একটি অদ্ভুত নিয়ম চালু করে জানানো হয়, উচ্চমাধ্যমিকে ৫০ % নম্বর থাকতে হবে প্রত্যেক প্রার্থীর ক্ষেত্রেই৷ আর তা না হলে তাঁদের ডি.ইএল.ইডি প্রশিক্ষণের যে সার্টিফিকেট দেওয়া হবে, সেখানে তাদের সার্টিফিকেট দেওয়া হবে এনসিসি অর্থাৎ নট কমপ্লিটেড বলে।
মূলত কিছু দিন আগে রাজ্যের প্রাইমারি শিক্ষা পর্ষদ একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে প্রায় ১৬ হাজার ৫০০জন প্রার্থীকে নিয়োগের জন্য। কিন্তু, ইন্টারভিউতে বসতে দেওয়া হচ্ছে না ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণ প্রার্থী, যাদের এনসিসি যুক্ত ডি.ইএল.ইডি সার্টিফিকেট রয়েছে, তাঁদেরকে। তাঁরা শিক্ষক হিসেবে কাজ চালিয়ে যেতে পারলেও, অংশ নিতে পারবেন কোনো নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ? প্রশ্ন উঠতে শুরু করে এমনকি সেই নিয়েও৷ অপূর্ব মণ্ডল সহ একাধিক প্রার্থী আদালতে মামলা দায়ের করেছেন এর বিরুদ্ধেই।
মামলার ব্যাপারে মামলাকারীদের তরফে আইনজীবী ফিরদৌস শামিম জানালেন, ‘‘স্নাতক ডিগ্রি থাকলেও, উচ্চমাধ্যমিকে ৫০ % নম্বর না থাকলেও স্কুলে শিক্ষক হিসেবে তাঁদের কাজ চালিয়ে যেতে পারবেন ডি.ইএল.ইডি প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরা। কিন্তু, তাঁরা অংশ নিতে পারবেন না এই নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ইন্টারভিউতে, এটা পরিষ্কার দ্বিচারিতা।