পড়ে গেছে শীত, তাই জলপাইগুড়িতে দেদার বিক্রি হচ্ছে বাচ্চাদের টুপি
জলপাইগুড়ি : উত্তরের হাওয়ার সঙ্গে শীতের আমেজ। শীতবস্ত্রের সঙ্গে রংবেরঙের টুপির চাহিদা জলপাইগুড়ির বাজারে বাড়ছে। বিশেষ করে সর্দিকাশির হাত থেকে খুদেদের বাঁচাতে টুপির দোকানে অভিভাবকরা টুপি কিনতে বাজারে ভিড় জমাচ্ছেন। ছোট হলে কী হবে! নতুন প্রজন্ম মাংকি টুপি পরতে নারাজ। তাই তাদের চাহিদা অনুযায়ী রকমারি স্টাইলের টুপি বাজারে বিকোচ্ছে। তবে এবার ট্রেন্ডিংয়ে বাচ্চাদের ইয়ার টুপি রয়েছে। এছাড়া হেডফোন টুপি, বার্বি টুপি ও মিকি মাউস টুপি তো আছেই। স্টাইলের পাশাপাশি যাতে শিশুদের ঠান্ডা না লাগে টুপি তৈরির ক্ষেত্রে সেদিকেও নজর দেওয়া হয়েছে। বেশিরভাগ টুপি চেরা উলের তৈরি। এছাড়া ফাইবার মিক্স মেটিরিয়ালও আছে।
এদিকে বাচ্চাদের মন জয় করা আকর্ষণীয় এই উলের টুপিতে দোকানগুলি ছেয়ে গিয়েছে। সেগুলি কিনতে ক্রেতারা দোকানমুখো হচ্ছেন। টুপি কিনতে দোকানে ঝুম্পা রায় এসেছিলেন। তিনি বলেন, ‘শীতে বাচ্চাদের টুপি পরানো বড্ড ঝক্কির কাজ। বেশিক্ষণ মাথায় রাখতে চায় না। এই ধরনের ইয়ার টুপি যেমন দেখতে সুন্দর, তেমন এটি পরলে কানে ঠান্ডা ঢুকবে না। মাথা গরম হবে না। বাচ্চারা টুপি মাথায় রেখে তার ঝুলগুলো দিয়ে খেলতে পারবে। আমার ছেলের ইয়ার টুপি বেশ মনে ধরেছে। দাম সাধ্যের মধ্যে।’
বাজারের কাপড় কিংবা উলের টুপিগুলোর বিভিন্নরকম নাম আছে। যেমন- ফ্যাশন বেবি হ্যাট, নিট ওয়ার্ম ক্যাপ, ক্রকেট বেনি, স্কার্ফ টুপি ও বাকেট হ্যাট প্রভৃতি। আর মাংকি টুপিতো আছেই। তবে ঝোলা টুপি বা মাফলার টুপি এখন বেশ জনপ্রিয়। যদিও এ ধরনের টুপি নবজাতক বা দু’তিন বছরের শিশুদের জন্য নয়। টুপির দাম ৫০ থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে। ডিজাইন এবং কাপড়ের ওপর দাম নির্ভর করছে। বিভিন্ন ডিজাইন ও রঙের তারতম্যের কারণে দাম নির্ধারিত হচ্ছে বলে বিক্রেতারা জানিয়েছেন।
অনিমেষ চক্রবর্তী তাঁর ছেলের জন্য শীতের টুপি কিনতে এসে বললেন, ‘মাংকি টুপি ওদের পরানো যায় না। খুব বিরক্ত করে। আর ভেল পরিয়ে খুব একটা লাভ হচ্ছে না। ঠান্ডা লেগে যাচ্ছে। তাই এখানে এলাম। নানা ধরনের বাচ্চাদের টুপি এসেছে দেখলাম। বেশ ভালোই দেখছি। নিয়ে গিয়ে দেখি কোনও লাভ হয় কি না।’ সাধারণ কানঢাকা টুপি খুদেদের নাপসন্দ। তাই তাদের জন্য বাজারে নতুন স্টাইলের টুপি এসেছে বলে ব্যবসায়ী স্বপন মণ্ডল জানান। তাঁর যুক্তি, ‘এবছর বাজারে ইয়ার টুপি এবং হাওয়াই টুপির চাহিদা বেশি। অন্য টুপি থাকলেও ক্রেতারা ইয়ার টুপির দিকে ঝুকে গেছে বেশি।